পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৬ বছর পূর্তিতে দেশের প্রতিটি বাড়িতে তিরঙ্গা পতাকা উড়ানোর ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘হর ঘর তিরঙ্গা’-র আহ্বানে সাড়া দিয়েছে গোটা দেশের সব রাজ্যের মানুষ। ব্যতিক্রম শুধু উত্তর-পূর্বের সীমান্ত রাজ্য নাগাল্যাণ্ড। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে যখন গোটা ভারতজুড়ে ত্রিবর্ণের সয়লাব চলছে। তখন নাগাল্যান্ডে দেখা গেল রামধনু রঙের নাগাপতাকায় ছেয়ে ফেলা হয়েছে শুধু নাগাল্যান্ড নয়, মণিপুরের নাগা অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতেও দেখা গেল নাগা পতাকার ছড়াছড়ি।
মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন সোমবার থেকেই মণিপুরের উখরুল-সহ বিভিন্ন নাগা অধ্যুষিত অঞ্চলের বাড়ি-ঘর, অফিস, দোকানপাট এবং শহরে ঘুরতে থাকা যানবাহন শুধুই উড়তে দেখা গেল নাগা পতাকা। একই ছবি গোটা নাগাল্যান্ডজুড়ে। নাগা জাতীয় সত্তাকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যেই নাগাজাতীয় পতাকা হাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল বিভিন্ন নাগা সংগঠন। তাদের সঙ্গে ছিল বৃহত্তর নাগালিম রাজ্যগঠনের দাবিদাররাও।
মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসে ভারতের জাতীয় পতাকা বাদ দিয়ে এনএসসিএস-আইএম নেতা মেজর হুতোভি দিসি সো উখরুন জুবিনি হলে নাগা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাগা নেতা, নাগরিক সংগঠন এবং ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা। অনুষ্ঠানে নাগা শহিদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য হুতোজি বলেন, নাগা জাতীয় কর্মীরাই শুধু নাগা স্বাধীনতা যোদ্ধা নন, আমেরিকা, আফ্রিকা এবং অন্যান্য যে কোনও জায়গায় বসবাসকারী প্রত্যেক নাগাই স্বাধীনতা যোদ্ধা। তিনি বলেন, নাগারা সাত দশক ধরে লড়াই করেছিলেন। আমরা আমাদের স্বাধীনতার কথা বলছি না। বলছি, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্টে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাকে মেনে নিতে। এজন্য সব নাগাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আমাদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের জন্য এবং বৃহত্তম নাগালিমের জন্য।