পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রতিবছর বাংলার স্বাধীনতা দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হয় মহানগরী কলকাতার রেডরোডে। এবারও জাঁকজমকভাবে স্বাধীনতা দিবসের দিনটি পালন করা হবে। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুচকাওয়াজের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্যারেডে অংশ নেবে। এছাড়া রাজ্য সরকারের নানারকম প্রকল্পের ট্যাবলো থাকবে বলে জানা গেছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহর কলকাতাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য রেড রোডকে ১৩টি জোনে ভাগ করে নজর রাখা হচ্ছে। থাকছে পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র, ওয়াচ টাওয়ার। সুক্ষাবলয়কে আঁটসাঁট করতে সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। নজরদারি চালাতে ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ২০০০ পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরে ১০০ টি নাকা চেকিং পয়েন্ট গড়ে তোলা হয়েছে। ৬ টি পুলিশ সহাযতা কেন্দ্র থাকবে। ৬ টি ওয়াচ টাওয়ারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মোতায়েন করা হচ্ছে ১৭ জন ডেপুটি কমিশনার পদ মর্যাদার অফিসার। এছাড়া ৪৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নজর রাখবেন। মহানগরের গেস্ট হাউসগুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কুইক রেসপন্স টিম, স্যান্ড ব্যাগ বাঙ্কার থাকছে ১১ টি। শহরের বুকে ৯০ জন ইন্সপেক্টর নজরদারি চালাবেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
স্বাধনীতা দিবসের দিনে যানবাহন চলাচলের উপরও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রেডরোডের অনুষ্ঠান চলাকালীন ডাফরিন রোড, কুইন্স ওয়ে, মেয়ো রোড, আউটট্রাম রোড, আর আর অ্যাভেনিউ, স্ট্যান্ড রোড, জওহরলাল নেহেরু প্রভৃতি রোড দিয়ে চলাচলকারী গাড়ির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা হচ্ছে। পাশপাশি স্লিপার ডগ এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে খতিয়ে দেখে হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যাতে কোনওরকম ত্রুটি না থাকে, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে লাল বাজারের তরফে। স্বাধীনতা দিবসের সকালে দেড় ঘন্টার কুচকাওয়াজ চলবে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানকে জমকালো করতে তিরঙ্গায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে রেডরোড চত্বর। জানা গেছে, এবছর রাজ্যের ছয় জন আইপিএস অফিসারকে পুরস্কার করা হবে। তাঁদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।