পুবেরকলম ওয়েবডেস্কঃ আফ্রিকার দেশ গিনিতে সামরিক অভু্ত্থানের পর সৈন্যরা দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেছে। তারা প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডেকে আটকের দাবি করেছে। এছাড়া সংবিধান বাতিল করে সরকার ভেঙে দিয়েছে। এই অভু্যত্থানের পেছনে রয়েছে সেনাবাহিনীর অভিজাত একটি ইউনিট। কর্নেল মামাদি দুমবোয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সেনা এই অভু্ত্থান ঘটিয়েছে। মামাদি এক বিবৃতিতে বলেন– ’আমরা প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের সর্বাত্মক যত্ন নিচ্ছি। তিনি চিকিৎসকদের পরিচর্যায় রয়েছেন। সবকিছুই ঠিক আছে।’
গিনির পতাকায় দেহ মুড়ে ওই কর্নেলকে হাফ ডজন সশস্ত্র সৈন্য পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখা যায়। তিনি অভিযোগ করেন– কন্ডে রাজনীতিকে নিজের সম্পত্তিতে পরিণত করেছিলেন– কিন্তু দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক অবস্থার উন্নতির জন্য কিছুই করেননি। গত বছর সহিংসতাপূর্ণ নির্বাচনে ৮৩ বছর বয়সী কন্ডে তৃতীয়বারে মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে গিনির প্রেসিডেন্ট আলফা কন্ডের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এক ভিডিয়োতে প্রেসিডেন্টকে ঘিরে রাখতে দেখা গেছে সেনা সদস্যদের।
তাদের দাবি– ক্ষমতা এখন তাদের হাতে। এদিকে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রক আবার জানিয়েছে– ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড। রাজধানী কোনাক্রিতে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এতে তিনজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। সেনার নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতা যাওয়ার খবরে বিরোধীরা রাস্তায় নেমে মিছিল করে বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস ও আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট আলফা কোন্ডেকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি প্রাকৃতিক সম্পদের দিক দিয়ে ধনী হলেও কয়েক বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অব্যবস্থাপনা দেশটিকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে পারেনি।