পারিজাত মোল্লা: বিগত বাম জমানায় মেদিনীপুরের গড়বেতার দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। সেই সুশান্তকেই বেনাচাপড়ার ‘কঙ্কালকাণ্ড’-এর মূল অভিযুক্ত বলে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১১ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু পরের বছরই জামিন পান তিনি। তবে জামিনের মূল শর্তই ছিল, -‘নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও যেন না যান তিনি’। তবে সুশান্ত ঘোষ তা মানছেন না অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। এই বাম নেতার জামিন নাকচের দাবি নিয়ে সুপ্রিম দরবারে রাজ্য। সোমবার সেই মামলার প্রেক্ষিতে সবপক্ষকে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট । সুশান্ত ঘোষের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। এরপরই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গেছে ।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সিটি রবিকুমার এবং বিচারপতি পি নরসিংহের ডিভিশন বেঞ্চে এই দাবি জানায় রাজ্য।কঙ্কালকাণ্ডের মামলায় ২০১২ সালে সুশান্ত ঘোষকে শর্তসাপেক্ষ জামিন দিয়েছিল আদালত। জেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে যদিও তা তুলে নেওয়া হয়। তবে একান্ত প্রয়োজনে জেলায় ঢুকলেও নিজের এলাকার বাইরে বেরোতে পারবেন না, ছিল তেমনই নির্দেশ। তবে ভোটের বাংলায় সিপিএমে তাঁর সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়। জেলায় জেলায় সভা, মিছিলে ‘কঙ্কালকাণ্ড’-এর সুশান্তই ছিলেন প্রধান মুখ। পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিএমের জেলা সম্পাদকও করা হয় তাঁকে।এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয় -‘সেই নির্দেশ মানেননি সিপিআইএম নেতা। জেলার যেখানে সেখানে ঘুরে বেরিয়েছেন। এমনকী মিটিং মিছিল করেছেন’।
এই সময় রাজ্যের কাছে আদালত জানতে চায়, -‘২০১২ সালের মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি কেন?’ এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না সুশান্ত ঘোষের আইনজীবী।
কঙ্কালকাণ্ডে অভিযুক্ত নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য অনুযায়ী, এদিন যে সুপ্রিম কোর্টে কোনও মামলা আছে তা জানতেনই না তিনি। দুই পক্ষকেই চার সপ্তাহের নোটিস জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।একমাস পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।