কৌশিক সালুই, বীরভূম:- রাজ্য সরকারের যেখানে অন্যতম পাখির চোখ দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এবার সেই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধি থেকে সভাপতি এবং সরকারি সভাপতি নির্বাচন করা হল। সোমবার বীরভূমের উনিশটি পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচন হয়। সবকটি পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা সভাপতি এবং সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের কাছে অন্যতম বড় প্রস্তাবিত শিল্প প্রজেক্ট হল দেউচা পাঁচামি কয়লা। আর সেই শিল্পে যাতে রাজনৈতিকভাবে কোনও সমস্যা সৃষ্টি না হয় তার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস প্রকল্প এলাকার দুই জন প্রতিনিধি হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হরিণসিঙ্গার বাসিন্দা প্রবাসিনী মুর্মুকে সভাপতি এবং ডেউচা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেউচার বাসিন্দা শামসুল আলমকে সহকারী সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছে।
যদিও এই প্রকল্পে প্রথম দিকে স্থানীয় আদিবাসীদের কিছুটা বিরোধিতা থাকলেও পরবর্তী সময়ে প্রায় সকলেই নিজেদের জমির বিনিময়ে চাকরির আবেদন করেছেন। তাতে এখনো পর্যন্ত ১০০০ পুলিশে ও গ্রুপ ডি তে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় আরো চার হাজার সরকারি চাকরি পেয়ে যাবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বলা যেতে পারে এলাকার মানুষজন ডেউচা পাঁচামি শিল্প নিয়ে প্রশাসন এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকারের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই প্রতিনিধিকে এবার পঞ্চায়েত সমিতির শীর্ষ পদে বসানো হল।
এবারের পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনে মহম্মদ বাজার ব্লকে ৩১ টি সিটের মধ্যে চব্বিশটি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, পাঁচটি বিজেপি ও দুটি সিপিএম দখল করেছে।
মহ:বাজার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কালী প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” দেউচা পাঁচামী প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চল এলাকার মানুষজন সংশ্লিষ্ট প্রকল্প করতে সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে স্বেচ্ছায় জমি দিয়ে চাকরি নিয়েছেন বা চাকরির আবেদন করেছেন। এরপরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই প্রকল্প এলাকায় তৃণমূলের বিশাল জয় হয়েছে। বলা যেতে পারে পুরস্কার স্বরূপ এলাকার দুই জনপ্রতিনিধি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সভাপতি দুই শীর্ষ স্থানে বসিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস”।