পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু নিয়ে ক্রমশই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সৌরভ চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও তিন জন রয়েছে পুলিশের স্ক্যানারে। এর মধ্যে একজন ভিনদেশের ছাত্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন মেন হোস্টেলের ঘরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউন্সেলিং চলে স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ। সেখানে বেশ কয়েকজন মিলে স্বপ্নদীপের নাম পরিচয় জানার অছিলায় তাকে নানাভাবে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। এমনকী নানাধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের কাছে আরও খবর এসেছে, যত রাতে বাড়ে ততই হোস্টেলে জুনিয়র ছাত্রদের ওপরে অত্যাচার বাড়ে। আরও জানা গেছে, সৌরভ চৌধুরী পাস আউট করার পরেও এই হোস্টেলেই থাকত। সৌরভের সঙ্গে থাকা আরও ছাত্ররা তাকে যতই পাশে থাকার কথা বলুক, কিন্তু সেভাবে তারা কেউ পাশে থাকে না। রাতে আর কয়েকজনের সামনেই ওপর থেকে লাফ দিয়ে পড়ে স্বপ্নদীপ। এখন প্রশ্ন উঠেছে স্বপ্নদীপ পড়ার পর তাকে সেই সময় বাঁচানোর চেষ্টা হয়েছিল কিনা। একাধিক প্রশ্ন উঠেছে যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুকে ঘিরে।
গত ৩ তারিখে চায়ের দোকানে এই সৌরভের সঙ্গে পরিচয় হয় স্বপন্দ্বীপের বাবার। তখনই সৌরভ জানায় যতদিন পাকাপাকিভাবে ঘর পাচ্ছে না ততদিন চাইলে মেন হস্টেলে গেস্ট হয়ে থাকতে পারে স্বপ্নদীপ। স্বপ্নদীপের বাবা জানান, দুজনের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। দেখেও খুব ভালো লেগেছিল। কিন্ত সেই সৌরভই আমার ছেলের সঙ্গে এই কাজ করবে সেটা বুঝতে পারিনি। আমি সৌরভের ফাঁসি চাই। ১০৪ নম্বর রুমের পড়ুয়া মনোতোষের গেস্ট হিসাবে ৬৮ নম্বর রুমে থাকার ব্যবস্থা হয় স্বপ্নদীপের। বুধবার রাতে এখানেই এ-১ ব্লকের ব্যালকনি থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বগুলার স্বপ্নদীপের।
স্বপ্নদীপের বাবা আরও জানান, খুব ভালো ছাত্র ছিল আমার ছেলে। তবে হস্টেলে যাওয়ার পর খুব ভালো ছিল না। তবে সব কিছু বলে গেল না ছেলেটা। বলেছিল, বলা নাকি বারণ আছে। কি থেকে কি হয়ে গেল।