দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: হাইকোর্টের নির্দেশে উপাচার্য আবাসন থেকে পঞ্চাশ মিটার দূরে সরে যেতেই তাৎক্ষণিক স্বস্তির মধ্যে শুরু হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও ফলাফল প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রেও আদালতের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরা, বলে জানা গেছে । পড়ুয়ারাদের অবস্থান বিক্ষোভের চার দিনের মাথায় কোলকাতা হাইকোর্টে দারস্থ হয় বিশ্বভারতী।৩ সেপ্টেম্বর মামলা প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বিচারক উপাচার্য কে মুক্ত করার সাথে একাধিক নির্দেশকা জারি করে।
পড়ুয়ারাদের অবস্থান বিক্ষোভ ৫০ মিটার দূরে সরিয়ে নেয় ঠিকই। কিন্তু ফের মঞ্চ তৈরি করে। হাইকোর্ট তাদের পক্ষের আইনজীবী শামীম আহমেদ রাতের দিকে পড়ুয়ারাদের সাথে দেখা করেন এবং আন্দোলন কীভাবে চালাতে হবে তার আইনী পরামর্শও দেন। কারন আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয় ছাত্র ইউনিয়ন আন্দোলন কোন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন নয়।
এদিকে শনিবার বেলা ১১ টা নাগাদ বিশ্বভারতীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র সংগঠন জেলার একাধিক কলেজ থেকে প্রায় হাজার দুয়েক পড়ুয়াদের নিয়ে সেন্ট্রাল অফিস সংলগ্ন রাস্তা পূরবী ফটক পর্যন্ত এসে ফের বোলপুর শহরের ডাকবাংলো ময়দানের দিকে যাত্রা করে। তবে মিছিলে কোনো মাইক ব্যবহার করা হয় নি। খালি গলাতে শ্লোগান ওঠে ভিসির পদ্যত্যাগ চেয়ে, বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়ারাদের বহিষ্কার ফরমান প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে। বিশ্বভারতী তৃণমূল ছাত্র নেতৃত্ব জামসেদ আলি খান জানান, পড়ুয়ারাদের আন্দোলনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পাশে আছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, পাগল ভিসি বিশ্বভারতীকে শেষ করে দিল। ছাত্র পরিষদ ছাত্রদের পাশে আছে। আগামী দিনে আরও বড়ো আন্দোলন হবে।