পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে মহিলাদের সম্মানের সঙ্গে খেলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুধু তাই নয় দেশের গৌরব নিয়ে খেলা করতে দ্বিধা করছেন না তিনি। শুক্রবার ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে এমনটাই লিখেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
বিজেপি শাসিত মণিপুরে দুই মহিলাকে ধর্ষণ, নগ্ন করে প্যারেড করানো, ব্রিজভূষণ শরণ সিং-এর দ্বারা মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানি, উত্তরপ্রদেশের একাধিক খুন, ধর্ষণ, হত্যার অভিযোগের মতো ঘটনাগুলি একত্রিত করে ভিডিয়োটি বানানো হয়েছে।
এর আগেও মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, এই রাজ্যের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কোনও সম্পর্ক নেই। মোদিজি জেনে গেছেন,তাদের ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি এই সুন্দর পাহাড়ি রাজ্যটিকে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে।
প্রায় ৩ মাস ধরে জাতি দাঙ্গায় উত্তাল হয়েছে মণিপুর। জারি রয়েছে মৃত্যু মিছিল। অথচ মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহিলা কুস্তিগিরদের দীর্ঘদিন ধরে যৌন হেনস্থা করেছেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিং। প্রতিবাদে সরব হয়ে রাস্তায় নেমছিল দেশের মেয়েরা। তখনও বেটিদের হকের জন্য একটি কথাও খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথিত আছে, বোবা, কালার শত্রু নেই। প্রধানমন্ত্রী যেন সেই প্রবাদটাকেই নিজের হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছেন, অভিযোগ রাহুলের।
মণিপুর প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন? নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিয়ে বৃহস্পতিবারও সমাজ মাধ্যমে বড় পোস্ট করেছিলেন রাহুল গান্ধি। লিখেছিলেন, মণিপুরে যা ঘটছে সেটা অল্পবিস্তর সকলের জানা। অথচ এই বিষয়ে উদাসীন প্রধানমন্ত্রী। আপনাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন উঠছে। নিশ্চয়ই ভাবছেন বিমানে চেপে কেন ইম্ফল যাচ্ছেন না তিনি। আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছেন তো? আসলে উনি তো আরএসএসের প্রধানমন্ত্রী। মণিপুরে কি হচ্ছে তার সঙ্গে ওনার কোনও লেনাদেনা নেয়। ওই রাজ্যের মা-বোনেদের কি হচ্ছে তাতে নরেন্দ্র মোদির কোনও যায় আসে না। বিজেপি-আরএসএস ক্ষমতার জন্য লালায়িত। নিজেদের স্বার্থে দেশকে বিভক্ত করতেও দ্বিধা করবে না এঁরা। এই দুটি সংগঠন মানুষের দুঃখ আর বেদনা একদমই পাত্তা দেয় না।
উল্লেখ্য, মণিপুর নিয়ে মোদির বিবৃতির দাবিতে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে সংসদের দুই কক্ষ। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। কবে, কখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি হবে তা নির্ধারণ করবেন ওম বিড়লা।