ইনামুল হক, বসিরহাট: বিজয় মিছিলে পা মেলালো একশো দিনের কাজের শ্রমিকরাও। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম সভার তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা সাধারণ গ্রামবাসীদের নিয়ে বিজয় মিছিল করল। একশো দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত তিন বছর ধরে কাজ নেই।
২১এ জুলাই শহিদ সমাবেশে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন বিজেপি সরকারের বিিরুদ্ধে। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করতে পারছে না তৃণমূলকে তাই তারা পরিকল্পনা করে বাংলার মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। অথচ কেন্দ্র সরকার বারবার ১০০ দিনের কাজের জন্য বাংলাকেও দেশের মধ্যে প্রথম স্থান স্বীকৃতি দিচ্ছে। আবার তারাই প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। এই নিয়ে ২ অক্টোবর দিল্লি চলো ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলাায় একুশে জুলাই মঞ্চে প্রকাশ্যে “খেলা হবে”প্রকল্প ঘোষণা করেছেন।
সেই প্রকল্পের ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সুন্দরবনের তৃণমূলে জয়ী প্রার্থীরা এদিন “খেলা হবে” প্রকল্পের কাটআউট নিয়ে বিজয় মিছিল করলো। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী শহীদুল্লাহ গাজী, গ্রাম সভার জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মুকুল গাজীর নেতৃত্বে এই পঞ্চায়েতের সব জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে এদিন মিছিল করলো বাঁকড়া থেকে সাহাপুর পর্যন্ত। প্রত্যেকের হাতে খেলা হবে” প্রকল্পের কাট আউট যেমন ছিল। অন্যদিকে ফুলের মালা সবুজ আবির উড়িয়ে বিজয় উৎসবের মাতলেন সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষেরা।
শহিদুল্লাহ গাজী বলেন, ২১ জুলাই দলনেত্রী ফের ১০০ দিনের কাজ কর্মসূচি চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই খেলা হবে প্রকল্প ঘোষণা হওয়ার পর থেকে প্রান্তিক মানুষেরা আনন্দ উৎসবে মেতেছে। আমরা চাই বাংলার প্রান্তিক মানুষ তাদের ১০০ দিনের কাজের মধ্য দিয়ে জীবিকা অর্জন করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করুক। তাই আজকে শুধু তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা নন, সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষেরা আমাদের বিজয় মিছিলে হাজির হয়েছেন।