পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ ৩৮-নয় ৩ দলেই শক্তিশালী এনডিএ। নব্য ঘষিত দল ইন্ডিয়া’কে কটাক্ষ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রকে একহাত নিলেন উদ্ধব ঠাকরে। ৩৮-একটা সংখ্যা মাত্র। ইডি, ইনকাম ট্যাক্স এবং সিবিআই এই তিন দলই এনডিএর অন্যতম শক্তি বলেও আক্রমণ শানান তিনি। আর সব বিশ্বাস ঘাতকেরা ওই দলে রয়েছে। ঠিক একই কথা বলেছিলেন সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। বিরোধী দলনেতাদের উপরেই বারবার নেমেছে ইডি-সিবিআই-এর খাঁড়া। অন্য দিকে চুপ থেকেছে গেরুয়া রাজ্যগুলিতে। বারংবার এই অভিযোগ উঠলেও এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে মোদির ‘সুরক্ষা কবচ’ হিসেবে তোপ দাগেন উদ্ধব ঠাকরে।
এদিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উদ্ধব জানান, রাজনৈতিক ইতিহাসের পট পরিবর্তন হবে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে। প্রতিটা শুরুর একটা শেষ থাকে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। ২৬-দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইন্ডিয়া’-কে দেখে ত্রস্ত মোদি এনডিএ-র সঙ্গে জোটে গেছে। এখন এনডিএ সরকারের নাড়া লাগালেও। ভোট শেষে তা নেহাতি এককেন্দ্রীক মোদি সরকারে পরিণত হবে।
মণিপুর ও কাশ্মীর জ্বলছে। তৈরি হয়েছে অস্থিতিশীলতার পরিস্থিতি। কাশ্মীরে গত ৬ বছর ধরে নির্বাচন হয়নি। বলা বাহুল্য সরকার চায়নি। অন্যদিকে বিজেপি শাসিত রাজ্য মণিপুর জাতি-দাঙ্গায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। অথচ এই প্রসঙ্গে ‘মৌন ব্রত’ পালন করছে প্রধানমন্ত্রী। পুরো দেশ তার বিবৃতির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। একটি শব্দও খরচ করেননি নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার পুনরায় কেন্দ্রে ক্ষমতায় বসলে গণতন্ত্র ভুলন্ঠিত হবে। সুতরাং ২০২৪-এর নির্বাচন দেশবাসীর কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। দেশে বিজেপির অপশাসন হটিয়ে সুশাসন স্থাপনের একটা বিরাট সুযোগ বলেও মনে করছে বিরোধীরা।