পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতার মিল্লি আল-আমীন গার্লস কলেজের পরিচালনায় রয়েছে মিল্লি এডুকেশনাল অর্গানাইজেশন। রবিবার দুপুরে তারা আয়োজন করেছিল তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এদের মধ্যে ছিলেন সদ্য আইএএস আধিকারিক হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জনাব শাকিল আহমেদ, নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত মাইনোরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান জনাব আহমদ হাসান ইমরান এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জনাব তানভীর আফজল, সম্প্রতি তিনি স্পেশাল সেক্রেটারি পদে উন্নীত হয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ জনাব নাদিমূল হক। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা ও আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন মিল্লি এডুকেশনাল অর্গানাইজেশনের প্রেসিডেন্ট জনাব মুস্তাক সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানের প্রথমে বক্তব্য রাখেন মিল্লি আল-আমীন কলেজ ও অর্গানাইজেশনের প্রবীণ সদস্য জনাব জিয়াউদ্দীন হায়দার। তিনি জনাব শাকিল আহমেদ এবং তানভীর আফজলের আন্তরিকতা ও কাজের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, তাঁরা ভবিষ্যতেও সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করে যাবেন। আহমদ হাসান ইমরান সাহেব সম্পর্কে তিনি বলেন, ইমরান সাহেব কয়েক যুগ ধরে মিল্লাতের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। মিল্লি আল-আমীন গার্লস কলেজের সঙ্গেও রয়েছে ইমরানের দীর্ঘ সম্পর্ক। এই কলেজ যাতে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায় তার জন্য পুবের কলম পত্রিকা দীর্ঘদিন ধরে খবর প্রকাশ করেছে। তাই কলকাতা ও বাংলার লোকেরা ইমরান সাহেবকে জানে। আমরা আশা করব, তিনি মাইনোরিটি কমিশনে ভালো কাজ করবেন।
সংবর্ধনা প্রাপক শাকিল আহমেদ ওই এলাকাতেই বেড়ে উঠেছেন। শাকিল আহমেদ বলেন, আমাকে সংবর্ধিত করার জন্য আমি জনাব মুস্তাক সিদ্দিকী সাহেবের শুকরিয়া আদায় করছি। তিনি জনাব ইমরান সাহেব সম্পর্কে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তাঁকে আমি জানি। কমিশনের চেয়ারম্যান পদে আসায় আমি আনন্দিত। তাঁর স্মৃতিচারণা শ্রোতা-দর্শকদের খুশি করে।
আহমদ হাসান ইমরান সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি ছাত্রাবস্থায় তিনি জনাব মুস্তাক সিদ্দিকী সাহেবের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। তখন থেকে তাঁর কাজের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। মিল্লি আল-আমীন গার্লস কলেজ দীর্ঘ সংগ্রাম ও পথ পরিক্রমা করে যেভাবে সংখ্যালঘু চরিত্র পেয়েছে তা খুবই কৃতিত্বের বলে ইমরান মন্তব্য করেন। তিনি সাধ্য মতো উর্দুভাষীদের সার্বিক উন্নতির জন্য কাজ করবেন বলেও ওয়াদা করেন।
ইমরান আরও বলেন, আজ কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকরা এক কথায় ‘হুজ হুণ’রা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছে। তিনি সকলের শুকরিয়া আদায় করেন।
জনাব তানভীর আফজলও বলেন, তিনি আধিকারিক হিসেবে সবসময় সকলের জন্য কাজ করেছেন। কিন্তু সুযোগ পেলে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘুদেরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করেছেন।
জনাব মুস্তাক সিদ্দিকী তাঁর সমাপনী ভাষণে বলেন, আজ আমরা সমাজের তিন রত্নকে সংবর্ধনা দিচ্ছি। তিনি আল্লাহ-র কাছে প্রত্যেকের উন্নতি কামনা করেন।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিল্লি কলেজের গভর্নিং বডির সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহাঙ্গির। তাঁর সম্পর্কে সাংসদ নাদিমূল হক বলেন, স্কুলে জাহাঙ্গির সাহেবের বেতের ভয় তাঁকে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে উৎসাহ দিয়েছিল। তিনি তিন সংবর্ধনা প্রাপকদের সম্পর্কে তাঁর স্মৃতিচারণা পেশ করেন।
জনাব আমিনউদ্দীন সিদ্দিকী তিন সংবর্ধনা প্রাপকের হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকরা। এদের মধ্যে ছিলেন জামিল মনজর, মনজর জামিল, নিজাম সামিম, মুহাম্মদ কামরুদ্দীন, লেবার কমিশনার জাভেদ আখতার, শাহিদ আলি খান, মুসলিম ইনস্টিটিউটের জনাব নিসার আহমেদ, অর্জুন ধাবন, তানভীর হানিফ, হুমায়ুন কবির ইনস্টিটিউটের জনাব জাভেদ ইউসুফ, অন্যতম ফিন্যান্স ডাইরেক্টর খালিদ এজাজ আনোয়ার, ইমরান জাকি, শাহিদ সাহেব, নওশাদ আমিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব রাফে সিদ্দিকী।