পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: একই ব্যক্তিকে দুই মহিলার স্বামী হিসেবে দাবি। প্রেমিকা ও স্ত্রীর দাবিতে ফাঁসে স্বামী। দু’জনেই পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ায় সমস্যা নিরসনে ব্যর্থ পুলিশ শেষে থানায় শান্তিভঙ্গের অভিযোগে প্রেমিক-প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে। স্বামী-স্ত্রী এবং প্রেমিকার ত্রিভুজ সমস্যার মীমাংসা করতে সারাদিন চলে টানাপোড়েন, কিন্তু বিষয়টির সুরাহা করতে পারেনি পুলিশ।
মইনপুরীর কুরাওয়ালি নগরের ধনরাজপুরে একই স্বামীর সঙ্গে বসবাসের দাবিতে স্ত্রী এবং প্রেমিকার মধ্যে হাইভোল্টেজ নাটক শুরু হয়। বিবাহিতা স্ত্রী থানায় বিয়ের প্রমাণ দাখিল করার পর স্বামী এবং প্রেমিকের বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্ঘের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ দায়িত্ব সারে।
কনৌজ থানার বিশুনগরের বাসিন্দা এক বিবাহিতা মহিলার বিয়ে ২০১২ সালে হিন্দু রীতি মেনে ঘরনাজপুরের বাসিন্দা সুধীরের সঙ্গে হয়। সুধীর দিল্লিতে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন এবং বিয়ের পর স্ত্রী রেখাকে সঙ্গে নিয়ে যান। এর কিছুদিন পরেই রেখাকে তাঁর বাড়িতে রেখে আসে সুধীর। এরইমধ্যে রেখা দুটি সন্তানের জন্ম দেয়।
রেখার স্বামী সুধীর কুমারের গুলাবঠি বুন্দেলশহরের এক বিধবা মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন পরেই ওই বিধবার পরিজনেরা তাঁর বিয়ে খুর্জার বাসিন্দা সঞ্জয়ের সঙ্গে দেয়। স্বামীর সঙ্গে কিছুদিন থাকার পরই ফের সুধীর কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে একসঙ্গে বসবাস করতে শুরু করে। শনিবার সুধীরের স্ত্রী রেখা থানায় অভিযোগ জানায়, তাঁর স্বামী তাঁর প্রেমিকাকে বলপূর্বক বাড়িতে ঢুকিয়েছে।
এই ঘটনার পর বিবাহিতার পরিজনেরা বিরোধ করায় সুধীর এবং তাঁর প্রেমিকার হাতাহাতি হয়। পুলিশ প্রেমিকার পরিজনদের থানায় ডেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও নাছোড় প্রেমিকা সুধীরকে ছাড়তে অস্বীকার করে। অন্যদিকে সুধীর তাঁর স্ত্রী রেখা এবং প্রেমিকার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়। কিন্তু সুধীরের স্ত্রী এক ছাদের নিচে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করে। লাগাতার ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই হাইভোল্টেজ নাটকের পরও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি পুলিশ। শেষপর্যন্ত পুলিশ থানায় শান্তিভঙ্গের অভিযোগে সুধীর এবং তাঁর প্রেমিককে হেফাজতে নেয়।