পুবের কলম প্রতিবেদক: ভোটের দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটল। যে দল যেখানে শক্তিশালী তারা সেখানে দাপট দেখাল। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে পরাজিত হবে বুঝতে পেরে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস হিংসা ছড়াতে মদদ দিয়েছে। সংঘর্ষ বাধিয়েছে। ভোটকে ঘিরে রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। আর এই ভোট যুদ্ধে ঝরে গেল ১২ তরতাজা প্রাণ। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও ঝরল রক্ত। এই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কত কথা হল তা সত্ত্বেও ভোটের ময়দানে সেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় থাকলে এতগুলো প্রাণ ঝরত না। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, সংঘর্ষের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছাতেই পারেনি। যদিও নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংঘর্ষের খবর আসতে শুরু করে। নদীয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার, বাসন্তি-বহু জায়গায় চলেছে হিংসা। রক্তপাত।
দেখে নিন শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কোন জেলায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে,
আলিপুরদুয়ার-৬৩:১১
দক্ষিন দিনাজপুর- ৬১.৯৩
কোচবিহার- ৬৩.৮৪
জলপাইগুড়ি- ৬২.২৪
উত্তর দিনাজপুর- ৫৬.৮৭
মুর্শিদাবাদ- ৬৫.৯৫
মালদহ- ৬৩.৪৪
পশ্চিম মেদিনীপুর- ৭৯.১৫
পুরুলিয়া- ৫৯.৮৫
বাঁকুড়া- ৫৯.৮৩
বীরভূম- ৬৮.৮৮
ঝাড়গ্রাম- ৬৪.২৬
হুগলি- ৬৫.৪৩
হাওড়া- ৬৭.৫৮
উত্তর ২৪ পরগনা- ৬৭.৮৮
দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ৬৫.৪০
পশ্চিম বর্ধমান ৬৫.৮৫
নদীয়া- ৬৮.৭২
পূর্ব মেদিনীপুর- ৬৭.২৩
পূর্ব বর্ধমান-৬৮.৯০
কালিম্পং- ৫৬.৪৯
পশ্চিম মেদিনীপুরে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে। আর সবচেয়ে কম কালিম্পংয়ে। ১১ তারিখ পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশ হবে। এখন দেখার কার ভাগ্যের চাকা কোন দিকে ঘোরে।