পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বিজেপির কেরামতির জেরে মুখোমুখি লড়ছেন কাকা-ভাইপো। কার ‘পাওয়ার’ বেশি তা দেখতে বুধবার কাকা শরদ পাওয়ার ও ভাইপো অজিত পাওয়ার দু’জনেই বৈঠক ডেকেছিলেন।
কাকা বৈঠক ডেকেছিলেন নরিম্যান পয়েন্টের যশবন্ত রাও চহ্বান সেন্টারে। অন্যদিকে বান্দ্রার ভুজবল নলেজ সিটিতে বিধায়কদের আহ্বান জানিয়েছিলেন ভাইপো অজিত পাওয়ার।
অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী সূত্রের খবর, তাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোট ৩৫ জন বিধায়ক। আরও কয়েকজন না আসতে পারলেও তাদের সমর্থন রয়েছে। ফলে দলত্যাগ বিরোধী আইন থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করে ফেলবেন ভাইপো অজিত। নির্বাচন কমিনের কাছে এনসিপি’র নাম ও প্রতীক চেয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন করে ফেলেছেন মহারাষ্ট্রের নবনির্বাচিত উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তাঁর দাবি ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর কাছে। এদিন যারা অজিতের সমর্থনে হাজির হয়েছিলেন তাদেরকে দিয়ে ১০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নিয়েছেন অজিত। যাতে তারা পরে মুখ ফেরাতে না পারেন।
সূত্রের খবর, কাকা শরদ পাওয়ারের বেঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৩ জন বিধায়ক, ২ জন বিধান পরিষদের সদস্য এছাড়া রাজ্যসভা ও লোকসভার ৩ জন করে সাংসদ। সেই হিসেবে এখনও পর্যন্ত ক্ষমতার দৌড়ে কাকাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন অজিত পাওয়ার।
বুধবারের বৈঠকে শরদ পাওয়ার নতুন প্রজন্মের নেতা গড়ার ডাক দিয়েছেন। পাশাপাশি বিঁধেছেন বিজেপিকেও। কিন্তু ভাইপোকে খুব একটা আক্রমণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে অজিত পাওয়ার জানান, কাকা শরদকে তিনি খুবই শ্রদ্ধা করেন। তবে কাকার উচিত, দলীয় কাজকর্ম থেকে এবার অবসর নেওয়া। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মানুষের উন্নয়নের জন্য অজিত মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন। তাঁর দাবি মেনে যদি বিজেপি অজিত পাওয়ারকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দেয়, তাহলে একনাথ শিন্ডের কি হবে তাই এখন দেখার।