ইনামুল হক, বসিরহাট: ‘নাগাড়ে ফোন বেজে গেলেও তুলছিলেন না করমণ্ডলে নিখোঁজ হিঙ্গলগঞ্জের সঞ্জয় মণ্ডল। না তোলারই কথা। মোবাইল থেকে সঞ্জয়ের বিচ্ছিন্ন দেহ তখন হাসপাতালের মর্গে ব্যবচ্ছেদ এর অপেক্ষায়। তিনদিনেও যখন তার খোঁজ মেলেনি তখন পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন। বিডিওর নির্দেশে সরকারি প্রতিনিধিরা নিখোঁজ সঞ্জয় মণ্ডলের ছেলে বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সসহ সোমবার ৫ই জুন বালেশ্বরের গিয়েছিলেন।
বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের রূপমারি পঞ্চায়েতের বাঁশতলি গ্রামের বছর আটত্রিশের সঞ্জয় মন্ডল কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে ছিলেন। গত ছয় মাস আগে শেষ বাড়িতে এসেছিলেন। তারপর যশোবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেসে শুক্রবারে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। জানা যায় ওড়িষ্যার বালেশ্বরে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সঞ্জয় মণ্ডল। মোবাইল বেজে গেলেও তারয কোন সাড়া মেলে নি। মণ্ডল পরিবারে হতাশা আর আতঙ্ক গ্রাস করেছিল। মঙ্গলবার দুপুরবেলা বালেশ্বরে গিয়ে বাবার মৃতদেহ সনাক্ত করল ছেলে।
বালেশ্বর এ ময়না তদন্ত হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স করে রওনা দিয়ে বুধবার সকাল বেলায় সঞ্জয় দে এর কফিন বন্দি মৃতদেহ পৌঁছল হিঙ্গলগঞ্জের উত্তর বাঁশতলা গ্রামে। এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে স্ত্রী আরতি দে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
ইতিমধ্যে বিডিও শাশ্বত প্রকাশ লাহিড়ি, হিঙ্গলগঞ্জ বিধায়ক দেবেশ মন্ডল হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পুতের কর্মাধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ গাজী হাসনাবাদে এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা মৃত সঞ্জয়দের মৃতদেহ ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি তার স্ত্রী আরতি দে কে সরকারি সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং এই পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হন। তারপর সঞ্জয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।