পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল শুক্রবার স্নাতক স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ্যক্রম থেকে ‘সারে জঁহা সে অচ্ছা, হিন্দুস্থাঁ হামারা’–র স্রষ্টা মহম্মদ ইকবালের জীবনী বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট’ শিরোনামের অধ্যায়টি বিএ–এর ষষ্ঠ সেমেস্টারের অংশ ছিল। তার মধ্যেই ছিল প্রয়াত উর্দু কবির জীবনী এবং সাহিত্য রচনা সম্পর্কিত ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ অধ্যায়টি।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সেটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিচালন পর্ষদের কাছে।
কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন পর্ষদ এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে মুঘল যুগ বাদ গিয়েছিল সিলেবাস থেকে। এবার মোদি সরকার উর্দু কবিকেও সিলেবাস থেকে বাদ দিতে চাইছে।
তবে ষষ্ঠ সেমেস্টারে রয়ে গিয়েছেন, রামমোহন রায়, পন্ডিতা রমাবাই, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী এবং বিআর আম্বেদকর।
১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে (বর্তমানে পাকিস্তানে) ইকবালের জন্ম। মৃত্যু হয় ১৯৩৮ সালে। পাকিস্তান জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছে তাঁকে। দুই দেশেই তিনি সমাদৃত। প্রসঙ্গত, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত সিবিএসইর দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের সিলেবাস থেকে মোগল যুগ বাদ গিয়েছে। এবার বাদ যেতে চলেছে ইকবালও!