পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল বনসহায়ক পদে নিয়োগ দুর্নীতি মামলাটি। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীদের দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। অন্য ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বনসহায়ক পদে ২ হাজার জনের প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ রয়েছে যে, -‘ নতুন করে এই প্রক্রিয়া করতে হবে। তারপর নতুন প্যানেল প্রকাশ করে চাকরি দিতে হবে’। সেই কাজ যখন শুরু হয়েছে তখন সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কয়েকজন কর্মী।
তবে এদিন সেই মামলা শুনল না বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে স্পষ্ট বলেন, -‘ এই ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে না। অন্য বেঞ্চে মামলা করতে পারেন’।বিচারপতি লপিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশ মতো চলতি সপ্তাহে এই পদের জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চে যান কয়েকজন কর্মী।
তাঁদের আইনজীবী জানিয়ে, পুরনো প্যানেলে কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে সেখান থেকে অযোগ্যদের বার করে দেওয়া হোক। যোগ্যদের কেন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। কিন্তু গোটা প্যানেল বাতিল যেন না হয়’। কিন্তু সেই আর্জি শুনল না বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।এই নিয়োগ হয়েছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বনমন্ত্রী ছিলেন সেই সময়ে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জলপাইগুড়ির সভা থেকে বলেছিলেন, -‘বনসহায়ক নিয়োগে কারসাজি হয়েছে। তার তদন্ত হবে’। তবে বর্তমানে রাজীব তাঁর পুরাতন দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। এরমধ্যে আদালতের নির্দেশে সেই প্যানেল বাতিলও হয়েছে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ আপাতত মামলা শুনলা না। এর ফলে বিচারপতি লপিতা গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রইল।তবে মামলাকারীরা অন্য ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।