পুবের কলম প্রতিবেদক: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য রাজ্যের প্রখ্যাত পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার শিল্পপতি তথা রাজ্যের শিক্ষাবিদ মোস্তাক হোসেন তৈরি করে ছিলেন জিডি অ্যাকাডেমি। যে উদ্দেশ্যে এই অ্যাকাডেমি তৈরি তা অনেকটাই সফল। সেটাও এবার প্রমাণ হল এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে।
পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর উদ্যোগপতি তথা কর্ণধার এবং পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা আন্দোলনের কাণ্ডারী জনাব মোস্তাক হোসেন, প্রতিষ্ঠিত জি.ডি স্টাডি সার্কেল পরিচালিত জি. ডি. অ্যাকাডেমির ছাত্র মুহাম্মদ আমান ৪৭৪ নম্বর (৯৪.৫ শতাংশ) পেয়ে জি. ডি. অ্যাকাডেমিতে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। মুহাম্মদ আমান পূর্ব থানার অন্তর্গত মুল্টি কৃষ্ণনগর গ্রামের মুহাম্মদ মহিবুল্লার পুত্র। বাবা পেশায় একজন ক্ষুদ্র চাষি। মুহাম্মদ আমান ভবিষ্যতে একজন চিকিৎসক হতে চায় এবং তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। একাদশ শ্রেণি থেকে সে জি.ডি স্কলারশিপের সহায়তায় পড়াশোনা করছে। মহাম্মদ আমান তার এই সাফল্যের জন্য অ্যাকাডেমির কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছে।
মালদা জেলার কালিয়াচক থানার অন্তর্গত নয়াগ্রামের এক ক্ষুদ্র চাষি সামেদ আলীর পুত্র সাহানেয়ûাজ আখতার ৪৬৫ নম্বর (৯৩ শতাংশ) পেয়ে জিডি অ্যাকাডেমিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। সাহানেয়াজ আখতার জানিয়েছে জিডি স্কলারশিপের সহায়তা না পেলে মাঝ পথে পড়াশোনা থেমে যেত। তার এই সাফল্যের জন্য অ্যাকাডেমির শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছে সে কৃতজ্ঞ।
অ্যাকাডেমির আর একজন ছাত্র আজমির মণ্ডল ৪৬২ নম্বর (৯২.৪ শতাংশ) পেয়ে জি ডি অ্যাকাডেমিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। আজমির মণ্ডল নদিয়া জেলার চাপড়া থানার অন্তর্গত পদ্মমালা গ্রামের এক প্রান্তিক চাষি কুদ্দুস আলি মণ্ডলের পুত্র। তার পিতা ছেলের এই সাফল্যে জি ডি অ্যাকাডেমির সহায়তার জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
৪৬১ নম্বর (৯২.২ শতাংশ) পেয়ে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে মহঃ আয়াজ আহমেদ গণি। আয়াজ মালদা জেলার কালিয়াচক থানার অন্তর্গত খিখিরবোনা গ্রামের মহঃ কামাল হোসেনের পুত্র। তার বাবা পেশায় একজন চিকিৎসক। তার স্বপ্ন ভবিষ্যতে বাবার মতো একজন ডাক্তার হওয়ার। মালদা জেলার কালিয়াচক থানার খালতিপুর গ্রামের মহঃ জয়নাব পারভেজ ৪৬০ নম্বর (৯২ শতাংশ) পেয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে। তার বাবা মহঃ সামিম একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। জয়নাব ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাড়োরা থানার অন্তর্গত নাটুর আটি গ্রামের এক প্রান্তিক চাষি আবুল কামাল গাজীর পুত্র আবদুল মাতিন গাজী ৪৫৮ নম্বর (৯১.৬ শতাংশ) পেয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। মাতিনের স্বপ্ন একজন সু-চিকিৎসক হওয়া। অ্যাকডেমির আরও একজন ছাত্র মহঃ তৌহিদ হোসেন ৪৫১ নম্বর (৯০.২ শতাংশ) পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে।
মুহাম্মদ তৌহিদ হোসেন ভবিষ্যতে সেনাবাহিনীতে যোগ দান করতে চায়। এবছর জি ডি অ্যাকাডেমিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩৯ জন। তার মধ্যে ৯০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে ৭ জন। ৮০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে ২২ জন। ৭৫ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে ২৯ জন। ৬০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে ৩৭ জন। এবং ৬০ শতাংশের নীচে ২ জন।
জি. ডি. অ্যাকাডেমির এই উল্লেখযোগ্য ফলাফলের জন্য উদ্যোগপতি জনাব মোস্তাক হোসেন সাহেব গর্বিত ও অত্যন্ত খুশি। তিনি কৃতী ছাত্রছাত্রীদেরকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল করার জন্য তিনি উৎসাহিত করেন। কৃতী ছাত্রছাত্রীদের ধন্যবাদ জানান। কৃতী ছাত্রছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য মোস্তাক হোসেন সাহেব তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। জি. ডি. মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান, পি. এস. সি.-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান (অবসর প্রাপ্ত আই. এ. এস.) জনাব সেখ নুরুল হক সাহেব এই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে ভবিষ্যতে আরও ভালো ফল পাওয়ার জন্য আশাবাদী।