পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক:কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচনী ইশতেহারে কংগ্রেস ঘোষণা করেছিল, ক্ষমতায় এলে তারা বজরং দলের মতো কট্টরপন্থী দলকে নিষিদ্ধ করবে। এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করেছিল বিজেপি। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী প্রচারে বজরং দল ও বজরংবলীকে সমার্থক হিসেবে তুলে ধরেন। প্রচারের শেষে হুংকার ছাড়েন ‘জয় বজরংবলী’। তবে সেই প্রপাগান্ডা কাজে দেয়নি। কর্নাটকে মুখ থুবড়ে পড়েছে মোদি অ্যান্ড কোং। বিজয় মিছিলে বজরংবলী সেজে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় কংগ্রেস কর্মীদের। এই প্রেক্ষিতে এখন নানা মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেস তো ক্ষমতায় এল। এবার বজরং দল কি নিষিদ্ধ হবে? এ প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা রবিবার সাংবাদিকদের সামনে বলেন, কংগ্রেস ম্যানিফেস্টোতে বলেছিল- যদি কোনও দল আইন ভাঙে, ধর্মীয় ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ায়, ধর্ম অবমাননা করে এবং সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে আইন ও সংবিধান মেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরাসরি জবাব দেননি জয়রাম। তবে পাশাপাশি এও বলেছেন, বজরং দল ও বজরংবলী আলাদা বিষয়। বজরং দল বিদ্বেষ ও হিংসার রাজনীতি ছড়ানোতে বিশ্বাস করে। যখন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর (এখন প্রয়াত) ‘শ্রী রাম সেনা’কে নিষিদ্ধ করেছিল তখন কী হয়েছিল? প্রধানমন্ত্রী মোদি কি তখন বলেছিলেন যে শ্রী রাম অপমানিত হয়েছেন?
এদিন মোদির বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন রমেশ। তিনি বলেন, মানুষ মোদির রাজনীতিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তিনি যেভাবে প্রচারণা চালান তাতে মানুষ ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা। রোড শো, আকাশ থেকে ফুল ছোড়া-এসবে মানুষের আগ্রহ নেই। তার ভাষায়, প্রধানমন্ত্রীর ভাষা দেখুন-ডাবল ইঞ্জিন। এটার অর্থ কী? তার কাছে ডাবল ইঞ্জিন মানে তিনি দিল্লিতে বসে থাকবেন এবং তার রিমোট বেঙ্গালুরু বা ভোপালে বসে থাকা আরেকজনকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এটাই ওদের ডাবল ইঞ্জিন। আমাদের কাছে ডাবল ইঞ্জিন হল-এক ইঞ্জিন অর্থনৈতিক উন্নয়নের, আরেক ইঞ্জিন সামাজিক সংহতির।