পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ শাড়ি নয়, গয়না নয় না দিতে হবে নগদ অর্থ, মেয়ের বিয়ে দিতে হলে ধরে আনতে হবে একুশটি বিষধর সাপ। মনে নানাবিধ প্রশ্নের উদ্বেগ ঘটানো এই ঘটনা বহুদিন ধরেই চলে আসছে আমাদের দেশেরই এক অখ্যাত অঞ্চলে। বাঙালিদের মধ্যে পরিচিত ‘বেদে’ অর্থাৎ মধ্যপ্রদেশ নিবাসী গৌড়ীয় সমাজের মানুষ এই রীতি দীর্ঘদিন ধরে পালন করে আসছে। কয়েক শতাব্দী ধরে যে কোনও বৈবাহিক সম্পর্ক শুরুর আগে শুভদিনে সাপ উপহার দেওয়াকে শুভ বলে মনে করেন তারা। তাদের মতে সর্পদেবতা তুষ্ট হলে তবেই সুখী হয় বৈবাহিক জীবন।
মেয়ের বিয়ে ঠিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাই বাবাকে তৈরি হতে হয় ২১টি বিষধর সাপ ধরার জন্য। বিয়ের সমগ্র খরচের পাশাপাশি সাপ সংগ্রহের দায়ও তার। আবার যেকোনও ধরনের সাপ নয়, ধরতে হবে কেউটের মত বিষধর সাপ। এই সাপ ধরতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু ব্যক্তি তবুও এই রেওয়াজ পূরণ না হলে বিবাহ সম্পন্নই হয় না ওই অঞ্চলে।
গৌড়ীয়রা আদিকাল থেকেই সাপ ধরতে বিশেষ ভাবে পারদর্শি। বাংলায় তারা বেদে নামেও পরিচিত।শহর ও গ্রামাঞ্চলের গৃহস্থ বাড়ি থেকে বিষাক্ত সাপ ধরে নিয়ে যান তারা। তাই সাপ ধরা তাদের কাছে বেশ সহজ কাজ। মেয়ের বিয়ের কয়েকদিন আগেই তারা সাপ ধরে রাখেন এবং কন্যাদানের সময় তুলে দেন মেয়ের হাতে। তবে গৌড়ীয়রা এই সাপ গুলিকে কখনই মারেন না, কারণ তারা মনে করেন এতে সর্পদেবতা রুষ্ট হয়ে তাদের মেয়ের বিবাহে অনিষ্ট করতে পারে, ফলে যে মেয়েটিকে বিয়ে করছে তাকে নিতে হয় ২১টি বিষধর সাপের দায়িত্ব।