পুবের কলম প্রতিবেদক: রামনবমীকে কেন্দ্র করে চলতি বছরে রাজ্যের নানা জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। সব থেকে বড় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল হাওড়া ও রিষড়া শহরের বুকে। রাজ্য সরকারের কড়া পদক্ষেপের পরে সেই দুই জায়গাতেই এখন শান্তি পুনর্বহাল হয়েছে।
কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রে রাজ্য সরকার জানতে পেরেছে নতুন করে অশান্তির আগুন লাগাতে চাইছে গেরুয়া ব্রিগেড। সেই জন্য তাঁদের লক্ষ্য এখন সংখ্যালঘু মুসলিমদের পবিত্র ঈদ উল ফিতর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামি শনি অথবা রবিবার ঈদ উল ফিতর উযাপিত হবে। এই ঈদের দিনে যাতে কোনও ভাবেই কলকাতা কিংবা জেলাগুলিতে কোনও অশান্তির ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ করছে রাজ্য প্রশাসন। ঈদের দিন কলকাতা শহরে নামানো হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার অতিরিক্ত পুলিশকে।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঈদ উপলক্ষ্যে শহরের রাস্তায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরের ৬৭৮টি জায়গায় নামাজের অনুষ্ঠান হবে। সেই কারণে ওইদিন সাড়ে ৩ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করছে লালবাজার। সারাদিন আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবেন বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। এছাড়াও থাকছে ৫৮টি মোবাইল পেট্রলিং টিম ৩৬ বাইক পেট্রলিং টিম। তাঁরা শহরজুড়ে টহলদারি চালাবে।
১৮টি এইচআরএফএস মোতায়েন থাকবে বিভিন্ন জায়গায়। পাশাপাশি নিরাপত্তার কারণে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে মোট ৩৪৬টি পুলিশ পিকেট করা হচ্ছে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশের একটি বাহিনী। জেলাগুলিতেও পুলিশি নজরদারি চালানো হবে পলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রামনবমীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ঈদের দিন শহরে বাড়তি নিরাপত্তা ও নজরদারি চালাবে লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, সমস্ত থানাকে নিজেদের এলাকায় কড়া নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পদস্থ কর্তারা।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) পান্ডে সন্তোষ জানিয়েছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষত, সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখার জন্য সাইবার বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনওরকম উস্কানিমূলক পোস্ট হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। জেলা সাইবার সেল গুলিও বিশেষ নজরদারি চালাবে।