পুবের কলম প্রতিবেদক: ইদানীং ইফতার মজলিশের আয়োজন করছে মুসলিম ছাত্ররা। এই মজলিশে ছাত্রীরাও অংশগ্রহণ করছেন। ইতিমধ্যে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টিরও বেশি ইফতার মজলিশ হয়েছে। সোমবার নিউ টাউন ক্যাম্পাসে আলিয়ার প্রাক্তন, বর্তমান ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকদের নিয়ে গঠিত ‘আলিয়ার রেনেসাঁর উদ্যোগে ইফতার মজলিশ ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। এ দিনের আলোচনা চক্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুবের কলম-এর সম্পাদক ও সাবেক আহমদ হাসান ইমরান। এ দিন তিনি রমযানের গুরুত্ব ও ফজিলত উল্লেখ্য করেন। তাঁর কথায়, রমযান সংযমের মাস। রমযান নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার মাস। এই মাসে ভালো কাজের আলাদা সওয়াব রয়েছে। বেশি বেশি করে কুরআন পাঠ করতে হবে রমযানে। এই মাস বাকি ১১ মাসের ট্রেনিং মাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. সৈয়দ নুরুস সালাম বলেন, রোযায় ইফতার মজলিশে দোয়া করা হয়। এই সম্মিলিত দোয়া মানুষের কল্যাণে কাজে লাগে। রমযান নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পড়ুয়ারাও বহু কিছু জানতে পারে।
অধ্যাপক আয়াতুল্লাহ ফারুক বলেন, পড়ুয়াদের নিয়ে সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত রয়েছে আলিয়ায়। পড়াশোনার পাশাপাশি রমযান নিয়ে আলোচনা পড়ুয়াদের জন্য ভালো দিক।
প্লেসমেন্ট অফিসার জাকির হোসেনের কথায়, রমযান শুধু সংযম শেখায় তাই নয়, রোযার মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতাও অর্জন করা যায়। তাই সকলের রোজা রাখা জরুরি।
এ দিন আলিয়ার ছাত্র মুহাম্মদ ওবাইদুল্লাহর দোয়ার মাধ্যমে আলোচনাসভা শেষ হয়। ইফতারের পর নিউ টাউন ক্যাম্পাসের গ্রাউন্ড ফ্লোরে মাগরিবের নামায আদায় করেন বিশিষ্ট অতিথি, ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীরা।
এ দিনের মজলিশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সাহিন সেখ, অধ্যাপক সেক গোলাম সারোয়ার হোসেন অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মীরা। এ ছাড়া ছিলেন ক্লাউড কাপ্টানের খালিদ ফজলুল্লাহ, আবিদ হোসেন। আয়োজক পড়ুয়াদের মধ্যে ছিলেন আবদুর রহমান, ওয়াজেদ তৌফিক, ওয়াদিল আলম, মনসুর হাবিবুল্লাহ, আব্বাসউদ্দিন সরদার প্রমুখ।
এ দিন যত পড়ুয়া ইফতার মজলিশে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছিল, তার থেকে দ্বিগুণ পড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।