পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: রমযান হল কুরআনের মাস। পবিত্র কুরআন পড়া প্রত্যেক মুসলমান ভাইবোনের জন্য অপরিহার্য, আমরা কুরআন শুধু তেলাওয়াতই করব না বরং তা বুঝব এবং সেইসঙ্গে নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করব। পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহ্তায়ালা মানব জাতির হেদায়েতের জন্য নাজিল করেছেন। রাব্বুল আলামিন এই কুরআনে ইহকালে মানুষের দৈনন্দিন পথ চলার এবং পরকালের আমল সঙ্গে নেওয়ার সার্বিক পথ সুনির্দিষ্টভাবে বাতলে দিয়েছেন। এখানে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন সম্পর্ক কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হল-
কয়েকজন বিশিষ্ট ওহী লেখকের নাম
১. হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.,
২. হযরত উমার বিন খাত্তাব রা.,
৩. হযরত ওসমান বিন আফফান রা.,
৪. হযরত আলী বিন আবি তালেব রা.,
৫. হযরত যায়দ বিন সাবেত রা.,
৬. হযরত আবদুল্লাহ বিন সা’দ রা.,
৭. হযরত যোবায়র বিন আওয়াম রা.,
৮. হযরত খালেদ বিন সা’দ রা.,
৯. হযরত হানযালা বিন রাবী রা.,
১০. হযরত খালেদ বিন ওয়ালিদ রা.,
১১. হযরত আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা রা.,
১২. হযরত মুহাম্মদ বিন মাসলামা রা.,
১৩. হযরত আবদুল্লাহ বিন সালুল রা.,
১৪. হযরত মুগীরা বিন শোবা রা.,
১৫. হযরত আমর ইবনুল আস রা.,
১৬. হযরত মোয়াবিয়া বিন আবি সুফিয়ান রা.,
১৭. হযরত জাহম ইবনুস সালত রা.,
১৮. হযরত শোরাহবিল বিন হাসানা রা.,
১৯. হযরত আবদুল্লাহ বিন আরকাম আয যুহরী রা.,
২০. হযরত সাবেত বিন কায়স রা.,
২১. হযরত হোযায়ফা বিন আল ইয়ামান রা. ,
২২. হযরত আমের বিন ফুহায়রা রা.,
২৩. হযরত আবদুল্লাহ বিন যোবায়র রা. ,
২৪. হযরত আবান বিন সায়ীদ রা. প্রমুখ।
কুরআনের মুদ্রণ ইতিহাস
মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত কুরআন শরীফ হাতেই লেখা হত। প্রত্যেক যুগেই এমন কিছু নিবেদিতপ্রাণ কুরআনের ‘লিপিকার’ মজুদ ছিলেন যাদের একমাত্র কাজ ছিল কুরআন শরীফ লেখা। কুরআনের প্রতিটি অক্ষরকে সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে এটি নিসন্দেহে এক নযিরবিহীন ঘটনা। মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের পর ইউরোপের হামবুর্গ নামক স্থানে হিজরি ১১১৩ সনে সর্বপ্রথম কুরআন শরীফ মুদ্রিত হয়। এরপর বিশ্বের এখানে সেখানে অনেকেই ছাপাখানার মাধ্যমে কুরআন শরীফ মুদ্রণ শুরু করেন, কিন্তু মুসলিম জাহানে নানা কারণে প্রথম দিকে মুদ্রিত কুরআন শরীফ তেমন একটা গ্রহণযোগ্য হয়নি।
মুসলমানদের মধ্যে সর্বপ্রথম মাওলানা ওসমান রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে ১৭৮৭ সালে কুরআন মুদ্রণের কাজ করেন। প্রায় একই সময় কাযান শহর থেকেও কুরআনের একটি নোসখা মুদ্রিত হয়। ১৭৮৭ সালে তেহরানে লিথো মুদ্রণযন্ত্রে প্রথম কুরআন শরীফের একটি কপি মুদ্রিত হয়। এরপর থেকে আস্তে আস্তে দুনিয়ার অন্যান্য এলাকাতেও ব্যাপকভাবে ছাপাখানার মাধ্যমে কুরআন মুদ্রণের রেওয়াজ চালু হতে থাকে। মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কারের আগে কুরআনের আয়াতসমূহ সাধারণত পাথর, শিলা, শুকনো চামড়া, খেজুর গাছের শাখা, বাঁশের টুকরো, গাছের পাতা এবং পশুর চামড়ার ওপর লেখা হত।