পুবের কলম প্রতিবেদক: শারীরিক অসুস্থতা-সহ একাধিক কারণে ৪৪ দিন পর ডিএ অনশন প্রত্যাহার করল রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শনিবার ধর্মতলায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে তাপস চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘ অনশন আন্দোলনে অনেক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। কারও কিডনিতে সমস্যা হচ্ছিস, কেউ কেউ গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই আপাতত ডিএ-র দাবিতে অনশন স্থগিত রাখা হল। তবে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের নানা প্রান্তে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ তাঁরা চালিয়ে যাবেন। অনশন প্রত্যাহার করা হলেও জেলায় জেলায় আন্দোলন জারি থাকবে।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে রিলে অনশন শুরু করেছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক অনশন শুরু হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা উঠবেন না বলে দাবি করেছিলেন। আন্দোলনে শামিল হওয়া সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি সুপ্রিম কোর্টের ডিএ-সংক্রান্ত রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। কিন্তু শীর্ষ আদালতে সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। অন্য দিকে কর্মবিরতি এবং ধর্মঘটে যোগ দেওয়া সরকারি কর্মীদের শো-কজ করে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চায় রাজ্য প্রশাসন।
নিজেদের দাবি আদায়ে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে যৌথ মঞ্চ। আগামী রবিবার সংগঠনের তরফে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে গণ মেল করা হবে। সোমবার গণ মেল করা হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী ৩০ মার্চ হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দুটি মহামিছিল এবং মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই দিন শহিদ মিনার ময়দানে সভাও করা হবে। ১০ এবং ১১ মার্চ দিল্লির যন্তরমন্তরে দুদিনের অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখ আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরোধিতায় ধরনা দেওয়ার কথা রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলন মঞ্চকে কার্যত পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এখানেই দেখা গিয়েছে যুব কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। নওশাদ সিদ্দিকি এই মঞ্চে আক্রান্তও হন।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। ফের ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ডিএ মামলার।