পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মোদি সরকার খারিজ করে দিলেও তামিলনাড়ুতে চালু করা হয়েছে শিশু পড়ুয়াদের জন্য ব্রেকফাস্ট মিল। সরকারের নিউ এডুকেশন পলিসিতে প্রস্তাব করা হয়েছিল সকালের প্রাথমিক স্কুলের শিশু পড়ুয়াদের জন্য ব্রেকফাস্ট মিলের। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থ দফতর সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেয় বিপুল খরচের দোহাই দিয়ে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এই প্রকল্প চালু করে বলেছেন, এটা কোনও দান-খয়রাতি নয়,এটা সরকারের দায়িত্ব।তারপর তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে চালু হয় এই প্রকল্প।
সমীক্ষায় দেখা গেছে মাদুরাইতে সকালের ব্রেকফাস্ট স্কিমের কারণে ৮৫% স্কুলে উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।রাজ্য পরিকল্পনা কমিশন পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ১,৫৪৩টি সরকারি স্কুলের মধ্যে ১,৩১৯টি, অর্থাৎ, তামিলনাড়ুর প্রায় ৮৫% স্কুলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রাতঃরাশ কর্মসূচি কার্যকর করা হয়েছে।
ব্রেকফাস্ট মিলে প্রতিটি পড়ুয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১২.৭৫ টাকা। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৫৪৫টি সকালের স্কুলের ১লক্ষ ১৪ হাজার শিশু পড়ুয়াকে এই খাবার দেওয়া হয়। মাদুরাই জেলা থেকে এই প্রকল্পের প্রথম দফার কাজ রূপায়ণ শুরু হয়েছিল । ধীরে ধীরে তা প্রতিটি জেলায় চালু করা হয় বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। খাবারের মধ্যে আছে খিচুড়ি, উপমা, পোঙ্গল, সেমাই ইত্যাদি।তামিলনাড়ুতে এই প্রকল্প চালু হওয়ায় তা প্রান্তিক এলাকা স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা লাভবান হয়েছে, এমনটাই মনে করছে সে রাজ্যের শিক্ষা মহল।
১৯২২ সালে তৎকালীন মাদ্রাজের মেয়র জাস্টিস পার্টির নেতা পি থেগারাইয়া শেট্টি প্রথম মাদ্রাজ শহরের সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিল চালু করেছিলেন। ভারতে মি ডে মিলের সেই শুরু। তবে সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ সরকার এই উদ্যোগকে ভাল চোখে দেখেনি এবং সরকারি নির্দেশ জারি করে ওই প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর পর ফের ১৯৫৬ সালে কংগ্রেসের মুখ্যনন্ত্রী কামরাজ নতুন করে বেশ কয়েকটি জেলায় চালু করেছিলেন মিড ডে মিল। বর্তমানে যে রান্না করা খাবার মি ডে মিলে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের, তা চালু হয়েছে ২০০১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।