পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নিবার্চনের ফলাফল বের হতেই উত্তর-পূর্ব তিন রাজ্যেই উন্নয়নের বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে লেখেন, ‘ভোটের এই ফলাফল দেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর মানুষের বিশ্বাস প্রমাণ করে দিয়েছে। এই ফল স্পষ্ট করে দিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিল্লি থেকে দূরে নেই, দিল থেকেও নয়’।
এবার সেই তিন রাজ্যেই সরকার গঠনের পালা। উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যেই সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি ও তাদের শরিক দল। ত্রিপুরা মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার বিজেপি সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। জানা গেছে, আগামী ৭ মার্চ, মঙ্গলবার মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে। দুটি রাজ্যেই সরকার গড়তে চলেছে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স সরকার। এর পরদিন অর্থাৎ ৮ মার্চ, বুধবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই ৭ তারিখই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রওনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৭ মার্চ বেলা ১১টা নাগাদ মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে শিলংয়ে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেদিন দিল্লি থেকে সরাসরি শিলংয়ে যাবেন। তাঁর উপস্থিতিতেই শপথগ্রহণ করবেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ কোহিমায় নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে। তাই শিলং থেকে সরাসরি কোহিমায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানের পর ত্রিপুরায় চলে আসবেন তিনি। ৮ মার্চ, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ আগরতলায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। নাগাল্যান্ডে নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানের পর মঙ্গলবারের রাত আগরতলাতেই কাটাবেন প্রধানমন্ত্রী। আগরতলায় রাজভবনে অথবা ত্রিপুরার সরকারি গেস্ট হাউজে রাত্রিবাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতেই শপথগ্রহণ করবেন ত্রিপুরার নতুন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠান শেষে সেদিনই দিল্লি ফিরে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে শিলং, কোহিমা ও আগরতলা। ইতিমধ্যে নজরদারি করতে তিন রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি দল।