পুবের কলম প্রতিবেদক: মিডডে মিলের হিসাব-নিকেশ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এবার দায়িত্বে থাকবে পঞ্চায়েত এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠী। মিড-ডে মিলের আর্থিক পরিচালনা সংক্রান্ত দায়িত্ব নিয়ে এমনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
নবান্ন সূত্রের খবর, আপাতত প্রত্যেকটি জেলার চার-পাঁচটি ব্লকে পাইলট আকারে এই প্রকল্প চালানো হবে। পাইলট প্রকল্পের সাফল্য এলে গোটা রাজ্যজুড়ে এই পদ্ধতিতে কার্যকর করা হবে। এপ্রিল মাস থেকেই পাইলট আকারে এই প্রকল্প রাজ্যে শুরু হচ্ছে বলেই শুক্রবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে খুব শীঘ্রই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর এই বিষয় নিয়ে একটি গাইডলাইনও দেবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
এ বার আর্থিক পরিচালনা সংক্রান্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য কেনার জন্য বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী অথবা মহাসঙ্ঘগুলি রয়েছে, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টা নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। মূলত এর আগে মিড ডে মিলের পরিচালনা সংক্রান্ত আয় ব্যয় সংক্রান্ত হিসাব-সহ বিভিন্ন বিষয়ে স্কুলের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাই দেখতেন।
বিশেষত মিড ডে মিল পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলির অশিক্ষক কর্মীদেরই বেশি দায়িত্ব থাকত। কিন্তু এবার সেই দায়িত্ব থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার পথেই হাঁটছে রাজ্য। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মিড ডে মিল নিয়ে আর্থিক নয় ছয়-এর অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলও পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শন শেষ করার পর পরই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক রাজ্যে মিড ডে মিলের শেষ তিন আর্থিকবর্ষের হিসেবে ক্যাগ অডিট-এর নির্দেশ দিয়েছেন। আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ নিয়েই এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে।
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এই অডিট শুরু হতে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু তার আগেই রাজ্যের তরফে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে মহাসঙ্ঘগুলি যাতে আরও দ্রুত তৈরি করা যায় সে বিষয়েও সম্প্রতি জেলাগুলিকে মুখ্যসচিব বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।