পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালিবানের হাতে যাওয়ার পর থেকেই দেশটিতে সাংবাদিকদের হয়রানির নানা খবর সামনে এসেছে। এই হয়রানি বন্ধে তালিবানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। গত শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্টÉ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস। সংবাদ সম্মেলনে নেড প্রাইসের কাছে আফগানিস্তানে গণমাধ্যমের হয়রানি নিয়ে জানতে চান সাংবাদিকেরা। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে তাঁদের (তালিবান নেতা) সঙ্গে সব পর্যায়ে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি।’
গত রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালিবান। পরের দিনই সংবাদ সম্মেলনে তানিবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা কারও বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক কিছু করবে না। দেশে সংবাদমাধ্যমকে কাজ করতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল তারা। তবে তাদের ওই কথার সঙ্গে কাজের মিল পাওয়া যাচ্ছে না।
জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, তাদের এক সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে না পেয়ে পরিবারের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছেন তালিবানের সদস্যরা।
এর আগে গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহরে আমদাদুল্লাহ হামদার্দ নামের এক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। হামলাকারীরা তালিবান সদস্য বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। আমদাদুল্লাহ হামদার্দ একটি জার্মান পত্রিকার হয়ে কাজ করতেন। এ ছাড়া এক আফগান নারী সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে লেখা একটি চিঠিতে তালিবানের রোষের মুখে নিজের ঘর ও প্রদেশ থেকে পালিয়ে থাকার বিবরণ দিয়েছেন।
এ দিকে কাবুলে মার্কিন নাগরিকদের তালিবান হয়রানি এমনকী মারধরও করছে বলে খবর প্রকাশিত হয়। পরে যুক্তরাষ্টেÉর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, মার্কিন সেনাবাহিনী বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছে। ঘটনাগুলোকে গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন তিনি।