পারিজাত মোল্লা : সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এর সিঙ্গেল বেঞ্চে মুর্শিদাবাদের এক চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যা মামলার শুনানি চলে। সেখানে বিচারপতি এই আত্মহত্যার নেপথ্যে দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে মনে করছেন।
আদালত সূত্রে প্রকাশ গত বছর মুর্শিদাবাদের লালগোলায় এক চাকরিপ্রার্থী আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তাঁর নাম আবদুর রহমান। পরিবারের অভিযোগ, টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন ওই তরুণ। সেই মামলায় এদিন কড়া মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
সোমবার এই মামলার পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট জানায়, -‘ আবদুর রহমানের মৃত্যুর সঙ্গে চাকরি দুর্নীতির যোগ রয়েছে। এই ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না’।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি কেন এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে না, সেই প্রশ্নও তুলে দিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ। আবদুর রহমানের সুইসাইড নোট থেকে দিবাকর কনুই বলে এক ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছিল।
জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী ছাত্র লিখে গিয়েছেন, এই দিবাকরই তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবেন।
অভিযুক্ত দিবাকরকে ইতিমধ্যে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআইয়ের উদ্দেশে বলেছে -‘ কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারীরা কেন দিবাকর কনুইকে জেরা করছেন না’? আদালত মনে করছে, নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ রয়েছে।
এদিন আদালত এও বলেছে,-‘ আবদুর রহমানের আত্মহত্যার পর তাঁর পরিবার যে অভিযোগ করেছে তার ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তে এখনও কোনও ফাঁক নেই।
কিন্তু যেহেতু নিয়োগ দুর্নীতির গোটা তদন্তটা করছে সিবিআই তাই তাদের এই মামলায় ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের এহেন কড়া পর্যবেক্ষণের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে? এখন সেটাই দেখার।