পুবের কলম প্রতিবেদক: আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক ও হাই মাদ্রাসা, আলিম, ফাজিলের পরীক্ষা। তার আগে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কমরুদ্দিন।
একই সঙ্গে মাধ্যমিকের পরীক্ষাতেও একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
এ বছর মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৫ হাজার। ছাত্রী পরীক্ষার্থী ৬৪ শতাংশ। ছাত্র পরীক্ষার্থী ৩৬ শতাংশ। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার। এবছর মাদ্রাসায় মোট ২০৪টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। মাদ্রাসায় পরীক্ষা শুরু হবে ১২টা থেকে, শেষ হবে বিকেল ৩ টায়। মাoাসা পর্ষদ আরও জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সামনেই প্রশ্নপত্র তুলতে হবে। মাদ্রাসা প্রতিটি কেন্দ্রে থাকছে সেন্টার সুপার। রাখা হয়েছে। মোবাইল, ক্যালকুলেটর সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা সেন্টারগুলিতে থাকবে পর্যাপ্ত শিক্ষক।
১১.৪৫ মিনিটে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছাতে বলা হয়েছে পড়ুয়াদের। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে অথবা অন্য কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এবছর মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪। ৪০ হাজার ৫০০ পরীক্ষক। এর মধ্যে প্রধান পরীক্ষক ১১৫৩ জন। পরীক্ষা চালানোর জন্য ৩৫ হাজার ইনভিজিলেটর রয়েছেন। ১২২৬টি সেন্টারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৬৭। বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৮৭।
মাধ্যমিকে এ বছর ছাত্র রয়েছে ২ লক্ষ ৯০ হাজার ১৭২ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২১। গতবছর রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫। সেই তুলনায় এই বছর অনেকটাই কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
যদিও এর কারণ হিসেবে কোভিড পরিস্থিতিকেই অনেকাংশে দায়ী করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা।
মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ আরও জানিয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের রিয়েলটাইম আপডেট পৌছে যাবে পর্ষদের কাছে। অ্যাডিশনাল ভ্যেনু সুপারভাইজার অ্যাপে রিয়েল টাইম আপডেট করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও গ্যাজেট ব্যবহার করা যাবে না। অভিভাবকরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
এদিকে মাধ্যমিক ও হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধায় পড়তে না হয়, তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা চলাকালীন অতিরিক্ত মেট্রো চলানো হবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় পর্যাপ্ত লোকাল ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে স্থানীয় হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ রাতে বলা হয়েছে।
এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ছিল ৯ মার্চ। ওই দিন ডিএ-এর বিরোধিতায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী নেয় বিভিন্ন বিরোধী সংগঠন। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা থাকায় বিক্ষোভ মিছিলের দিনক্ষণ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা।