পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কোভিডের পরে আগমন অ্যাডিনো ভাইরাসের। ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি কাশিতে কাবু শিশুরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক থেকে তিন বছরের শিশুর মধ্যে এই ভাইরাসের দাপট বেশি দেখা যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষ্মমতা কম থাকার জন্য তাদের এই ভাইরাস বেশি আক্রমণ করছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণ ফ্লু-এর মতোই জ্বর, হাঁচি, সর্দি-কাশি, চোখ জ্বালা, ডায়েরিয়া, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে আক্রান্ত শিশুদের৷ উপসর্গ থাকছে ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত৷ চরম পরিণতিতে ফুসফুসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে৷ একমাত্র ভাইরাল প্যানেল বা পিসিআর টেস্ট করলেই এই রোগের অস্তিত্ব জানতে পারা যায়৷ স্কুল, খেলার মাঠ, সুইমিংপুলে অন্য কোনও বাচ্চার হাঁচি-কাশি থেকে ছড়িয়ে পড়ছে এই সংক্রমণ৷
বিশেষজ্ঞদের মতে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে মেনে চলতে হবে, কোভিড বিধিনিষেধ।
১)জ্বর-সর্দি কাশি হলে জমায়েত, ভিড় এড়িয়ে চলা থেকে মাস্ক পরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২) আক্রান্ত হলে হাঁচি ও কাশির সময় নাক-মুখ যথাসম্ভব ঢেকে রাখতে হবে।
৩) ঘন ঘন সাবান জল দিয়ে হাত ধুতে হবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
৪) উপসর্গ দেখা দিলে সেই ব্যক্তিকে আইসোলেটেড থাকতে হবে।
৫) দুই বছরের নীচের শিশুকে বিশেষভাবে যত্নে রাখতে হবে। বেশি পরিমাণ জল ও তরল খাবার খেতে হবে।
৬) এই ভাইরাসে চোখে, নাকে, মুখে অযথা হাত দেওয়া যাবে না।
৭) যেখানে-সেখানে কফ, থুতু ফেলা যাবে না।
৮) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ