পুবের কলম প্রতিবেদক: সর্বভারতীয় শিক্ষাক্ষেত্রে বিগত ৬০ বছর ধরে নিজেদের অবদান রেখে চলেছে বেঙ্গালুরুর দয়ানন্দ সাগর ইউনিভার্সিটি। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দয়ানন্দ লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন।৬০ -এর দশকে মহাত্মা গান্ধি বিদ্যা পীঠ এডুকেশন ট্রাস্টের দায়িত্ব ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন এই শিক্ষাব্রতী মানুষটি।ক্রীড়া থেকে শুরু করে আইনজীবী কমপক্ষে সারা বিশ্বে দয়ানন্দ সাগরের কমপক্ষে ১০০,০০০ ছাত্র-ছাত্রী ছড়িয়ে আছেন।
শনিবার বিড়লা ইন্ডাসট্রিয়াল এন্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামের অডিটোরিয়ামে দয়ানন্দ সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে “ ওপেন সেশন ইন ল” শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যার বিষয় ছিল “ নিউ এজ লয়ারিং স্কিলস”।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যন্সেলর কেএনবি মুর্তির ভার্চুয়াল বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এই দিনের অনুষ্ঠান।
উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আমিনা কবীর, কলকাতা হাইকোর্টের ক্রিমিনাল লইয়ার অরিন্দম কাঞ্জিলাল। সিনিয়র অ্যাডভোকেট ঋষদ মেদোরা। সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।আইনের পড়ুয়াদারের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত। সেমিনারে উপস্থিত বিশিষ্টজনদের সঙ্গে হবু আইনজীবীদের মত বিনিময়ও হয়।
কর্নাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ও হবু আইনজীবীদের কাছে নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। ক্রিমিনাল লইয়ার অরিন্দম কাঞ্জিলাল প্রাঞ্জল ভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে আইনের জটিল বিষয়গুলি তুলে ধরেন।
পুবেরকলমকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বিচারপতি মুখোপাধ্যায় বলেন বর্তমান প্রজন্ম কেরিয়ারিস্টিক। তাই তাঁদের লক্ষ্য থাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পড়া শেষ করে মোটা বেতনের চাকুরিতে যুক্ত হওয়া। কিন্তু আইন নিয়ে কমপক্ষে পাঁচবছরের পড়া শেষ করে তারপর প্রতিষ্ঠা পেতে আরও বেশি সময় লেগে যায়। তাই বর্তমান প্রজন্ম ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা আইটির মত পেশাকেই আপন করে নিচ্ছেন। বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের আক্ষেপ তাঁরা ৬প্রজন্ম আইন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কিন্তু তাঁর পুত্র আইটি পেশাকেই বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে দয়ানন্দ সাগর ইউনিভার্সিটির প্রোগাম অফিসার পল্লবী জানান এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিভাগের একটি উদ্যোগ। কর্নাটকের পাশাপাশি পশ্চিমবাংলাতেও জায়গা করে নেওয়া তাঁদের অন্যতম লক্ষ।