পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এক অসহায় নিদারুণ করুণ অবস্থা। চারদিকে শয়ে শয়ে লোক। আর হুড়োহুড়ি থেকে ব্যস্ততা। ধরা পড়ল কাবুল বিমানবন্দরের মর্মস্পর্শী চিত্র। বন্ধ করে দেওয়া হল কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ারস্পেস। আজ থেকে আর কোনও অসামরিক বিমান চলাচল করবে না বলেই জানানো হয়েছে। তালিবান শাসন থেকে মুক্তি পেতে কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার তৈরি হয়। সেখান থেকে যে কোনও বিমান ধরে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এই বিশৃঙ্খলা এড়াতে কাবুল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর এড়াতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এদিকে কাবুল থেকে দূতাবাসকর্মীদের ফেরানোর জন্য ভারত চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায়নি। আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছিল ভারত। এ দিনই আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান যাওয়ার কথা ছিল। আপাতত সেটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
জারি করা হয়েছে নোটাম (NOTAM) বা “নোটিস টু এয়ারমেন”। সেখানে জানানো হয়েছে, কাবুলের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফেও জানানো হয়েছে, এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টাতেই কাবুলের উদ্দেশ্যে একটি বিমান যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এয়ারস্পেস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা পাঠানো সম্ভব হবে না।
আটকে থাকা দূতাবাসকর্মীদের দেশে ফেরানো নিয়ে বাড়ল উদ্বেগ। কিভাবে তাদের উদ্ধার করে আনা হবে, সেই চিন্তায় বাড়ছে।
আমেরিকা থেকে ভারতে এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানগুলি আসার কথা ছিল তাদের গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে। শিকাগো থেকে নয়া দিল্লিগামী একটি বিমান ও সান ফ্রান্সিসকো থেকে নয়া দিল্লি গামী একটি বিমানকেও অন্য পথে আনা হতে পারে। আফগানিস্তান অসামরিক উড়ান কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত দেশের উড়ানেরই যেন গতিপথ পরিবর্তন করে নেওয়া হয়। কাবুলের এয়ারস্পেসের নিয়ন্ত্রণ যেকোনও মুহূর্তে হাতছাড়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বিমানের গতিবিধি রাখার ওয়েবসাইট ফ্লাইট ব়্যাডার ২৪-র তরফেও টুইট করে জানানো হয়েছে শিকাগো থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের গতিপথ বদলে দেওয়া হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র বলেন, ‘আফগানিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখানে কোনও বাণিজ্যিক বিমান চলাচল করতে পারবে না। আমাদের কাবুলের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত ফ্লাইটও যেতে পারে না।”
সোমবার কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে আফগানিস্তানে চলাচলকারী বাকি কয়েকটি এয়ারলাইন্সের সময়সূচী বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যার মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়াও ছিল, যা ১২.৩০টার সময় ছাড়ার কথা ছিল। বাতিল হয়ে যায়।