পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর তালিবান। এ কথা তারা অনেক আগেই জানিয়েছিল। আর এখন কাবুলের পতনের মুখে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বিবৃতি প্রকাশ করল সশস্ত্র সংগঠনটি। এই বিবৃতি মূলত আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠা নিয়েই। তালিবান জানিয়েছে বিভিন্ন প্রদেশের দখল এটাই প্রমাণ করে যে, ইসলামি আমিরাতের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণেই সাধারণ মানুষ তালিবানকে সমর্থন দিয়ে চলেছে। তালিবানের মতে, এ ধরনের মহান এবং দ্রুত অগ্রগতি শক্তি দ্বারা অর্জন করা যায় না। সর্বশক্তিমান আল্লাহ ও মানুষের সাহায্য নিয়েই তা সম্ভব হয়েছে। ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠার পর তালিবান তার সকল নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তালিবান জানিয়েছে, এ নিয়ে কারও চিন্তা করা উচিত নয়। এরই পাশাপাশি কোষাগার, পাবলিক সুবিধা, সরকারি অফিস, পার্ক, রাস্তা, সেতু সম্পর্কিত সরঞ্জামগুলির প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন সংগঠনটি। কারণ এগুলো সবই জাতির আস্থা ও সম্পত্তি। তালিবান আরও জানিয়েছে, দখলদারদের সমর্থকদের ক্ষমা করে দেওয়া হবে, অবশ্য এটা তাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে। ইসলামি আমিরাত সকলের জন্য উন্মুক্ত।
তালিবানের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামি আমিরাতের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে, মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন করা উচিত, বিশেষ করে সরকারি ক্ষেত্রে– সেটি শিক্ষা– স্বাস্থ্য– সামাজিক বা সাংস্কৃতিক যাই হোক না কেন। এরই পাশাপাশি তালিবান সতর্ক করেছে কাবুলকে। কাবুল প্রশাসন সম্প্রতি যে ভিত্তিহীন ও জঘন্য প্রোপাগান্ডা চালু করে কিছু দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করছে তা অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছে তালিবান। তালিবানের বিরুদ্ধে মানুষকে হত্যা, ধর্ষণ বা বন্দি বানিয়ে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা-বিরোধী অপরাধের মতো ভুয়ো অভিযোগ আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব।
ইসলামি আমিরাত তার মুজাহিদিনদের নির্দেশ দিয়েছে তারা যেন কারো জীবনের ক্ষতি না করে এবং সবাইকে রক্ষা করে। দেশে ব্যবসায়ী বা শিল্পপতিদের স্বাভাবিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে তালিবান। একইসঙ্গে প্রতিবেশীদেরও নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে।