পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বছর দুয়েক আগে প্রায় ৯৫০০০ মহিলা উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক মহিলা উপভোক্তাই এখন সরকারের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছেন । নানা কারণকে সামনে এনে তারা প্রাপ্ত জমিতে বাড়ি তৈরি করতে অস্বীকার করেছেন।
ওই মহিলাদের দাবি সরকার থেকে যে জমি তাঁদের দেওয়া হয়েছে তা হয় মূল লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে, নচেৎ কোন না কোন সমাধিক্ষেত্রের নিকটবর্তী।
এই প্রত্যাখানের যুক্তি শুনে আক্ষরিক অর্থেই চরম বিপাকে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। ওই ৯৫০০০ উপভোক্তাকে বিকল্প জমি দিতে পুনরায় ৮০০ কোটি টাকা খরর হবে সরকারি কোষাগার থেকে।
আবাসন বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “উপভোক্তাদের দাবি পূরণ করতে হলে, আমাদের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ২,০০০ একরের বেশি জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। আগে আমরা যা দিয়েছিলাম তা ছিল সরকারি খাস জমি।”
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডিকে আবাসন বিভাগের কর্তারা এই সমস্যা সম্পর্কে অবগতও করেছেন। যে জায়গায় ওই মহিলারা জমি পেয়েছেন তার কমপক্ষে ৩০% মূল শহর থেকে অনেক দূরে, বাকি ৩০% কবরস্থান সংলগ্ন। উপভোক্তা মহিলাদের দাবী তাঁরা যে জায়গায় বসবাস করেন জমি যদি দিতেই হয় তবে সেই সংলগ্ন এলাকাতেই দেওয়া হোক।
বিশেষ মুখ্য সচিব (হাউজিং) অজয় জৈন অবশ্য দাবি করেছে ৫০,০০০ মহিলার ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অজয় জৈন আরও জানিয়েছেন সমস্যাটি যথেষ্ট গুরুতর, আমরা জেলা শাসকদের অধিগ্রহণের জন্য জমি দেখার নির্দেশ দিয়েছি। জমি দেখার কাজ শেষ হওয়ার পরে সবদিক খতিয়ে দেখে তবেই আমরা ওই উপভোক্তাদের জন্য বিকল্প জমির ব্যবস্থা করতে পারবো।
ইতিমধ্যে, সরকার প্রকাশম এবং অনন্তপুরমু জেলায় আরও ২৪০৬৮ জন সুবিধাভোগীর জন্য আনুমানিক ২৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬০০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে । জমি সমস্যায় জেরবার রেড্ডি সরকারের কাছে এছাড়া কোন বিকল্প রাস্তা ছিলনা। সরকার প্রদত্ত এই জমি গুলি নিয়ে মামলার জেরে উপভোক্তারা বাড়ি তৈরি করতে পারছিলেননা। দুই বছর আগে, রাজ্য সরকার ফ্ল্যাগশিপ ‘পেডালন্দারিকি ইল্লু’ (সকল দরিদ্রের জন্য ঘর) প্রোগ্রামের অধীনে প্রায় ২৫ লক্ষ মহিলা সুবিধাভোগীকে জমি বিতরণ করেছিলেন।
রাজ্য সরকার এটিকে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছে এবং ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে সেগুলি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্য নিয়ে প্রথম পর্যায়ে ১৮.৬৩ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। তবে আইনি জটিলতা ও সুবিধাভোগীদের একাংশের অনীহার কারণে প্রায় দুই লক্ষ ঘরের নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি।১৬.৬৭ লক্ষ বাড়ির মধ্যে শুরু হয়েছে, মাত্র ৬.৯৬ লক্ষ বেসমেন্ট এবং তার উপরে স্তরে পৌঁছেছে এখন দুই বছরেরও বেশি সময় যখন মাত্র ২.০৯ লক্ষ বাড়ির নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।