এস জে আব্বাস: আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে সব কিছুতেই শুরু হয়েছে ডিজিটালাইজেশন বা অন লাইন ব্যবস্থা। তেমনি শিক্ষা ব্যবস্থায় দ্রুত যোগাযোগ ঘটাতে চালু হয়েছে ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টাল। এই পোর্টালের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থায় অফিসিয়াল তথ্য আদান প্রদান কার্যকে ডিজিটাল করার চেষ্টা হচ্ছে। যাতে এক ক্লিকেই দ্রুত তথ্য পাওয়া যেতে পারে। খাতায়-কলমে তথ্য আদান প্রদানের দিন প্রায় শেষ হয়ে আসতে চলেছে। শিক্ষার্থীদের মার্কশিট, সার্টিফিকেট সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক তথ্যই এখন দ্রুত অনলাইন এই পোর্টালের মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে।
চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ হতে চলেছে। জানা গেছে, রাজ্যের বিদ্যালয়গুলির পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলিতেও বাংলার শিক্ষা পোর্টাল চালু রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের থেকে মাদ্রাসায় আরবীর মতো দু-একটি বিষয় বেশি থাকায় এবং ঐ বিষয় গুলি এখনো বাংলার শিক্ষা পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় মাদ্রাসার কোনো বিষয়ের মার্কস আপলোড করা যায়নি। তবে মার্কস আপলোড না হলেও শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশনে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।
যেহেতু, শিক্ষার অধিকার আইন মোতাবেক অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা যাবে না, তাই বাংলার শিক্ষা পোর্টালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও শিক্ষার্থীকে ডিটেনশন বা আটকে রাখা যাচ্ছে না। এমনকি, যেসব শিক্ষার্থীরা অনেকআগে থেকেই বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দিয়েছে বা বার্ষিক শেষ পরীক্ষাও দিতে আসেনি, তাদেরকেও এখনো পর্যন্ত আটকে রাখা বা ডিটেনশন করার কোন ব্যবস্থা নেই বাংলা শিক্ষা পোর্টালে। এখানেই প্রশ্ন জেগেছে, শিক্ষানুরাগী মহলে।
এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা শিক্ষা দফতরে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানা গেছে, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী যেহেতু অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশফেল নেই, তাই বিদ্যালয় ছুট শিক্ষার্থীদের আটকে রাখার কোনো অপশন আপাতত নেই। পরবর্তী কোনও নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত শিক্ষার অধিকার আইন এর গাইডলাইন মেনেই বিদ্যালয়গুলি কাজ করবে।
তবে একেবারেই বিদ্যালয়ে না আসা বা কোনো পরীক্ষা না দেওয়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে সরাসরি প্রমোশন পেয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা বিভিন্ন মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, বাংলার শিক্ষা পোর্টালে মাদ্রাসার বাড়তি সাবজেক্টগুলো যাতে যোগ করে মার্কস আপলোড করা যায়, তার দাবিও উঠেছে। পাশাপাশি এ দাবি উঠেছে যে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত যেসব শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে বা পরীক্ষাতেই বসেনি, তাদের যাতে আটকানোর ব্যবস্থা করা যায় তার কোনো অপশন বাংলার শিক্ষা পোর্টালে খোলার ব্যবস্থা হোক।
শিক্ষানুরাগীদের ধারণা, সবাইকে পাশ করাতে গিয়ে এমনটা চলতে থাকলে সরকারি ব্যবস্থায় শিক্ষার মান তলানিতে এসে ঠেকবে।