পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিহারের বৈশালীতে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ১২জন। তাদের মধ্যে সাতজনই শিশু। রবিবার রাত ৯টা নাগাদ দেসরি থানা এলাকার সুলতানপুরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি মন্দিরে পুজো চলছিল , সেখানেই ঢুকে পড়ে ভক্তদের পিষে দেয় ওই বেপরোয়া ট্রাকটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আট শিশু সহ মোট আট জনের। গুরুতর আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অনেকের অবস্থাই ছিল অত্যন্ত সঙ্কটজনক । ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে এমন একটা আশঙ্কা ছিলই। পরে আরও চারজনের মৃত্যু হয়। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২। ভূমিয়া বাবা’র পুজো উপলক্ষে রাস্তার ধারে অশ্বত্থ গাছের তলায় জমায়েত করেছিলেন ভক্তরা। সেই সময় রাস্তার পাশ থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই জমায়েতে ঢুকে পড়ে। সুলতানপুরের কাছে মহানর-হাজিপুর হাইওয়ে ধরে দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাক পিষে দেয় রাস্তার ধারের ওই জটলাকে৷স্থানীয় বিধায়ক প্রতিমা কুমারির অভিযোগ ট্রাক চালক ছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিহারের দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, সমবেদনা জানিয়েছেন তেজস্বী যাদবও।
পিএমওর তরফে ট্যুইটে করে বলা হয়েছে,বিহারের বৈশালীতে দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা।
বৈশালীর পুলিশ সুপার মনীশ কুমার জানিয়েছেন গ্রামে একটি বিয়ে উপলক্ষে এই শোভাযাত্রা বার করা হয়েছিল৷ কাছেই সুলতানপুর গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল৷ সেই উপলক্ষেই পুজো ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল৷ ট্রাক চালকও নিহত হয়েছেন বলে মনে করছে বৈশালীর পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। অ্যাম্বুলেন্সে শিশুদের জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন সন্তানহারা অভিভাবকরা। কান্নাকাটির রোল পড়ে যায়। স্তব্ধ হয় যান চলাচল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে