পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চিন্তন শিবির থেকে দেশের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব, কারণ দেশের সুরক্ষার সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। তাই রাজ্যসরকারগুলিকে সতর্ক হয়েই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে।
এক দেশ, এক ইউনিফর্মের পক্ষে সওয়াল করে মোদি বলেন, দেশের সব রাজ্যে পুলিশের একই পোশাক হওয়া উচিত। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, প্রতিটি রাজ্য অন্য রাজ্যের কাজ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। দেশের স্বার্থে অন্যের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। এটাই দেশের নাগরিকদের প্রতি কর্তব্য। এক দেশ, এক ইউনিফর্ম নিয়ে সব রাজ্যগুলির মধ্যে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাইবার ক্রাইম নিয়ে বিশেষ সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জি পরিষেবা গোটা দেশে চালু হয়ে যাবে কয়েক দিনের মধ্যে। এই পরিষেবা একদিকে যেমন সুবিধা দেবে, আবার অন্যদিকে সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
সাইবার ক্রাইমের সম্ভাবনা আরো প্রকট হতে পারে। এক্ষেত্রে সাইবার ক্রাইম রোধ করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করে মোদি বলেন, সাইবার ক্রাইম রোধে আরও সতর্ক হতে সবে সব রাজ্যগুলিকে। সবাই একের অপরের প্রতি সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব রেখে কাজ করতে হবে।
মোদি দাবি করেন, কোনও অপরাধ শুধু রাজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, অপরাধ হতে পারে আন্তঃরাজ্য বা আন্তর্জাতিক। তাই রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি। তাঁর মতে, সব রাজ্যের মধ্যে সহযোগিতা না থাকলে এসব সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতি অনুযায়ী, দেশের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করাই ছিল দুদিনের চিন্তন শিবিরের মূল উদ্দেশ্য। পুলিশ বাহিনীর আধুনিকীকরণ, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, বিচারের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার, সীমান্ত সুরক্ষা, উপকূলীয় নিরাপত্তা, নারী সুরক্ষা, মাদক পাচারের মতো বিষয়গুলিই ছিল মূল আলোচ্য।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে হওয়া এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মোট ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ১৬টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ওই শিবিরে বক্তব্য পেশ করেন অমিত শাহ।
হরিয়ানার সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে এই চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই চিন্তন শিবিরে যোগ দেননি। তাঁর পরিবর্তে সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব। সেই চিন্তন শিবিরে বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিপি, সিআরপিএফের অফিসাররাও অংশ নিয়েছিলেন।