পুবের কলম প্রতিবেদক: সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ইন্তেকাল করলেন বাংলা সাহিত্য জগতের বিশিষ্ট কবি নাসিম-এ-আলম (১৯৬৬-২০২২)৷ ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন৷ দীর্ঘ দিন মুখগহ্বরের ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি৷ ভেলোর, মুম্বই ঘুরে দীর্ঘ চিকিৎসাতেও কোনও ফল হয়নি৷ অবশেষে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন এই কবি ও প্রাবন্ধিক৷ তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গুণমুগ্ধ মহলে৷ দুই বাংলার প্রথম সারির নামী পত্রপত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে৷ নিয়মিত উত্তরসম্পাদকীয় কলাম লিখেছেন দৈনিক পুবের কলম পত্রিকায়৷
পুবের কলম-এর সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান কবি নাসিম-এ-আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন৷ জনাব ইমরান বলেন, তার সঙ্গে আমার বহুদিনের অন্তরঙ্গ পরিচয়৷ তিনি ছিলেন কলমের গুণগ্রাহী পাঠক ও লেখক৷ তার পরিবারকে আল্লাহ সবর করার তৌফিক দান করুন৷ আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি৷
নয়ের দশকের বাংলা কবিতার একটি বিশিষ্ট নাম নাসিম এ আলম৷ আইরিশ কলোনীতে সন্ধ্যা, ময়ূর ক্লান্ত মানে বর্ষা শেষ হল, লিটল ম্যাগাজিন ও অন্যান্য কবিতা, চাঁদসদাগর ফিরে আসবে, দ্রোহকাল, ধুলোর নির্জনে লেখা, বাসমতী ধানের অগ্রহায়ণ ও ঝুমকোলতা ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ তাকে বিশিষ্ট পরিচয় দান করেছিল।
প্রকাশিত হয়েছিল নিবন্ধ সংকলন ‘স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবাংলার মুসলমান সমাজ ও সাহিত্য’৷ বীরভূম জেলার নিমড়া গ্রামে থাকতেন কবি। তাঁর মায়ের পিতা অর্থাৎ নানা ছিলেন বিশিষ্ট লেখক এম আব্দুর রহমান (১৯০৯ -১৯৯২)৷
কবি নাসিম লিখেছিলেন,
“মাঝে মাঝে ফিরে আসে একই ভেলা, স্তব্ধ নদী, জল
সোনালি ইলিশ খুব সঙ্গত মনে হয়
সঙ্গত মনে হয় তীরের খয়েরি চিল, হেলে পড়া অশ্বত্থের ডাল
মিটিং মিছিলে ঝড় ওঠে, সভাঘর গমগম করে
কে পাবে নদীর অধিকার।”
আজ তার লেখনি চিরকালের জন্য থেমে গেল৷