I
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিশ্বক্ষুধা সূচকে আরও নামল ভারত। ১০১ থেকে নেমে ভারতের স্থান এখন ১০৭। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ভারতের আগে তালিকায় আছে বাংলাদেশ এমনকি পাকিস্তানও। একমাত্র দক্ষিণএশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারতের নিচে তালিকায় থাকা একমাত্র আফগানিস্তান।
শ্রীলঙ্কা (৬৪), নেপাল (৮১), বাংলাদেশ (৮৪) ও পাকিস্তান (৯৯) ভারতের থেকে উঁচুতে রয়েছে তালিকায়। ভারতের স্কোর ২৯.১ ১০৭ নম্বরস্থানে থাকা ভারতকে গুরুতর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে চিন আছে একেবারে তালিকার প্রথমদিকে।
কি দেখে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়? মূলত চারটি বিষয়কে সামনে রেখেই এই জিএইচআই স্কোর গণনা করা হয়।
১ অপুষ্টি
২ পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার
৩ কমবয়সি শিশুদের উচ্চতা
৪ ওজন
সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ছাড়াও তথ্য সংগ্রহ করা হয় ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাঙ্ক প্রভৃতি সংস্থা থেকেও। আফগানিস্তান ছাড়া ভারতের নিচে রয়েছে জাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, নাইজার, হাইতি, চাদ, কঙ্গো, মাদাগাস্কার,তিমুর-লেস্তে, গিনি-বিসাউ, সিয়েরা লিওন, লেসোথো, লাইবেরিয়া, নাইজার, হাইতি, চাদ, কঙ্গো, মাদাগাস্কার, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইয়েমেনের মতো দেশগুলি।
তবে জিম্বাবোয়ে, নাইজিরিয়া, হাইতি, জাম্বিয়া, মাদাগস্কারের মত দেশগুলিকে তালিকায় রাখা হয়নি। কারণ এইদেশগুলির পর্যাপ্ত তথ্য এখনও হাতে আসেনি।
স্বাভাবিক ভাবেই এই তালিকা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিরোধিরা একহাত নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে। গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের তালিকায় ভারতের ক্রমঅবনয়ন নিয়ে সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। চিদাম্বরম বলেছেন ২০১৪ থেকে যদি তালিকায় চোখ রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে ভারতের জিএইচআই স্কোর ক্রমশ খারাপ হয়েছে।
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিশোদিয়া বলেছেন ভারতের আগে থাকা ১০৬ টি দেশ অন্তত নিজেদের নাগরিকদেরজন্য কমপক্ষে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগার করতে পারে। ভারতে তখন বিজেপি পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতি নিয়ে ভাষণ দেয়।
যদিও ২০২১ সালেই কেন্দ্র জানিয়েছিল এই গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সের রিপোর্টের কোন ভিত্তি নেই। কারণ যে পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয় তার কোন বাস্তবসম্মত ভিত্তি নেই।