পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চালু হচ্ছে রিউম্যাটোলজি বিভাগ। এসএসকেএম, এনআরএস-সহ আরও কয়েকটি হাসপাতালের মতো রিউম্যাটোলজি বিভাগও আলাদা করে খোলা হবে।
ইতিমধ্যে এই হাসপাতালে রিউম্যাটোলজি বিভাগের একটি মাত্র চিকিৎসক রয়েছেন। তবে কোনও বিভাগ নেই। আগামী বছরের প্রথম দিকেই এই বিভাগ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য চিকিৎসকেরও প্রয়োজন। সেই ব্যাপারে স্বাস্থ্যভবনকে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি হাসপাতালে আরও দু’টি বিভাগকে আলাদা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে, নিওনেটোলজি বা সদ্যোজাত শিশুরোগ বিভাগ, কার্ডিয়াক অ্যানাসথেসিওলজি, এবং রিউম্যাটোলজি বিভাগ।
এই তিন বিভাগ চালু করার জন্য স্বাস্থ্য ভবনের কাছে আর্থিক অনুমোদন চাওয়া হয়েছে হাসপাতালের তরফে। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, অন্তত ৫০টি আসন নিয়ে নিওনেটোলজি বিভাগ চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে এই বিভাগ চালু করার জন্য ২০টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার শয্যা চালু করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে মেডিক্যাল কলেজের। ইতিমধ্যে হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিভাগের অধীনে এখন একটিমাত্র ইউনিট হিসেবে রয়েছে এটির। এই বিভাগ চালু করতে অনুমোদনের জন্য প্রাথমিকভাবে ন্যূনতম ৩০টি শয্যার প্রয়োজন।
তাই এই বিভাগটি দ্রুত চালুর ব্যাপারে আশাবাদী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দিন-দিন যেভাবে হার্ট ও থোরাসিক অস্ত্রোপচারের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কার্ডিয়াক অ্যানাসথেসিওলজি বিভাগটির গুরুত্বও উত্তরোত্তর বাড়ছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই রোগের জন্যে সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো থাকলে রোগীদের চিকিৎসা পেতে বহু সময় লাগতে পারে। তাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই বিভাগ শুরু হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক রঘুনাথ মিশ্র ‘পুবের কলম’কে বলেন, স্বাস্থ্যভবনের অনুমতি পেলে বিভাগগুলিতে উচ্চশিক্ষার পাঠ্যক্রম আগামী বছরই শুরু করা যেতে পারে।
তবে হাসপাতালের রিউম্যাটোলজি বিভাগ নতুনভাবে চালু করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেককে রিউম্যাটোলজিতে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু এই হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা না থাকার জন্য রোগীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ও নিওনেটোলজি বিভাগকে পৃথকভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এর জন্য দু’টি বিভাগকে আলাদা করে দেওয়া হচ্ছে। এ দিকে হাসপাতালের এই উদ্যোগে খুশি রোগী ও পরিজনেরা।