পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক; ইসলামি অর্থনীতির শীর্ষ দেশ হিসেবে বিশ্বে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় তুরস্ক। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশটি কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ইস্তান্বুলে অর্থনীতি বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে দেশটির এক শীর্ষ কর্মকর্তা গোকসেল আসান এ দাবি করেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক কার্যালয়ের প্রান গোকসেল আসান বলেন; ‘বর্তমানে অনেক দেশই নিজেদের ইসলামিক অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দাবি করছে।
কিন্তু ঐতিহাসিক; সাংস্কৃতিক; ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পটভূমি বিবেচনায় গুরুত্বর্পূ ও অগ্রগামী অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক।’
এর আগে অংশগ্রহণমূলক অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি বলেন; ‘তুরস্কে ধর্মীয় সংবেদনশীলতার মাত্রা বেশি।
ফলে ধর্মীয় সংবেদনশীলতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অংশগ্রহমূলক অর্থব্যবস্থাকে কেবল সঞ্চয়ের কাজে না লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্বাীনতার চালিকা শক্তি হিসেবেও ব্যবহার করতে হবে।’
অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক কৌশল পরিকল্পনা সম্পর্কে গোকসেল আসান বলেন; ‘২০২৫ সালের ম্েয এসব পরিকল্পনার বাস্তবায়নে তুরস্ক কৌশলগত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।’
এ সময়কে তিনি ‘সামগ্রিক রূপান্তরের সময়কাল’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। এরই মধ্যে তুরস্ক এ ব্যাপারে অগ্রগতি লাভ করেছে।
তুরস্কের সরকার ইসলামি অর্থনীতির বিষয়ে সার্বিক তদারকির জন্য প্রেসিডেন্সির ফিন্যান্স অফিসে একটি নতুন বিভাগ স্থাপন করেছে। ২০২১ সালে গ্লোবাল রেটিং এজেন্সি মুডিস জানায়; তুরস্কের ইসলামিক ব্যাঙ্কিং সম্পদ; যা অংশগ্রহমূলক ব্যাঙ্কিং সম্পদ হিসাবেও পরিচিত; আগামী পাঁচ বছরে অন্তত দ্বিগুণ হবে।