আইভি আদক, হাওড়া: কয়লা পাচার-কান্ডে বুধবারই রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ডালহৌসির সরকারি বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এর আগে আসানসোল এবং কলকাতায় মলয়বাবুর আরও পাঁচটি বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এই প্রসঙ্গে হাওড়ার বালিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “২০২৪ যত কাছে আসবে, আমাদের উপর হানা তত বাড়বে।” তাঁর বিরুদ্ধেও নানা কুৎসা করা হচ্ছে। এর বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ইয়ে….শির কাট সকতা হ্যায়, মগর ঝুক নহী সকতা।” বুধবার বিকেলে ডেঙ্গু মোকাবিলায় হাওড়া, বালি ও উত্তরপাড়া পুরসভাকে নিয়ে রিভিউ মিটিং করেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বালিতে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যুর পর জরুরি ভিত্তিতে এদিন বালির রবীন্দ্র ভবনে রিভিউ বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী। ডেঙ্গু মোকাবিলায় একধিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। এদিন বৈঠক শেষে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বিশেষ করে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার প্রবণতা হাওড়া, বালি এবং উত্তরপাড়ার কয়েকটি ওয়ার্ডে একটু বেশি রয়েছে। বালিতে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
সেই কারণে এই নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং আজকে বালি পৌরসভায় করলাম। তিনটি পুরসভাকেই বলেছি মাস মুভমেন্ট করার জন্য। কিছু মানুষ প্রয়োজন ছাড়াই অযথা বাড়িতে জল জমিয়ে রাখছেন। কিছু মানুষ বাড়ির ছাদ বা বাড়ির পিছনে পরিষ্কার করছেন না। আর বন্ধ কলকারখানা বা শরিকি ঝামেলার বাড়ি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেইসব জায়গায় আগাছা হয়ে রয়েছে। জল জমছে। সেইসব জায়গায় লার্ভা থেকে ডেঙ্গু আর ম্যালেরিয়ার মশা জন্মাচ্ছে। আমরা ডিএম’কে বললাম প্রয়োজনে কেস করুন। বা পুলিশের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে সেইসব জায়গায় ঢুকে লার্ভিসাইড স্প্রে করার ব্যবস্থা করুন। কন্টেনার থাকলে ভেঙে দিন। আজকেই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাস্তার ধারে আর ওপেন গাড়ির টায়ার রাখতে দেওয়া হবেনা।
ডিএম, সিএমওএইচ হাওড়ার পুরো বিষয়টা দেখবেন। আমাদের দপ্তরও দেখবে। হাওড়া এবং বালি দুটো আলাদা পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর সহযোগিতা করেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেখবে। বালিতে যেখানে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আজকে আমি এসে সেখানে যা যা করার প্রয়োজনীয় নির্দেশ সব দিয়ে দিয়েছি। কাল সকাল থেকে সব হবে। আমরা কেএমডিএ থেকেও একটা টিম নামিয়েছি। নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে। কনজারভেন্সির জন্য কিছু লোক নিচ্ছি। বালি পৌরসভা এলাকায় যাতে কোথাও কোনও নোংরা না থাকে সেটা আমরা দেখছি। ডেঙ্গুর প্রকোপ সব জায়গাতেই বেড়েছে। স্টাফের অভাবে নয়, এটা ওয়েদারের জন্য হয়েছে। সিঙ্গাপুর তো মডার্ন সিটি। সেখানে ১৫,০০০ ডেঙ্গু কেস হয়েছে।” অন্যদিকে, এদিন বাগুইহাটির কেস নিয়ে ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমাদের ওখানে দেবরাজ এবং অদিতি মুন্সি ওখানকার এমএলএ ওখানে গিয়েছিলেন। গিয়ে ওখানে কথা বলে এসেছেন। পরিবারের পাশে আমরা আছি। এটা হচ্ছে তার যে অন্যায় হয়েছে তার জন্য যায়নি বিজেপি। বিজেপি ওখানে পলিটিক্স করতে গেছে। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে যা করার বা সমবেদনা জানাচ্ছেন আমাদেরই এমএলএ এবং ওখানকার নেতারা যারা রয়েছেন তাঁরাই করছেন সেই কাজটা। শুভেন্দু অধিকারী সাহেব গেছেন একটা প্রেস নিয়ে ওখানে গেছেন। যদি প্রেস না থাকতো তাহলে উনিও যেতেন না। ওনাদের রাজনীতিটা আলাদা আর আমাদের রাজনীতিটা মানুষের পাশে থাকা। নিশ্চিতভাবে যেটা হয়েছে সেটা আমি কিছুক্ষণ আগেও প্রেসকে বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী যেটা করেছেন সেটা হচ্ছে যে ওসি’কে সাসপেন্ড করেছেন। আইনের মধ্যে থেকে ওসি’কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবং সিআইডি তদন্ত করে দেখবে যে দোষী আমার আপনার মুখের কথা নয় সিআইডির যাকে দরকার হবে তাকেই অ্যারেস্ট করবে।”