পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অমানবিক ও হিংস্র ইসরাইলি সেনা। তা না হলে একদিন আগে যে নিস্পাপ কিশোরটিকে গুলি করা হত্যা করা হয়েছিল তারই জানাযায় তারা ফের হামলা চালাতে পারত না। সেই কিশোরের জানাযায় গুলি চালিয়ে অপর এক ফিলিস্তিনি তরুণকে হত্যা করেছে খুনি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার বেইত ওমার এলাকায় শওকত খালিদ আওয়াদের (২০) মাথা ও পেটে গুলি করে ইহুদি বাহিনী। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে– ইসরাইলি সৈন্যরা দখলকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে বুধবার নিহত ১২ বছর বয়সি মুহাম্মদ আলআলামির নামাযে জানাযায় অংশ নেওয়া ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস– রাবার বুলেট এবং স্টান গ্রেনেড ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শওকত খালিদ আওয়াদ নিহত হয়। এরপর বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। জবাবে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় ইসরাইলি সেনা। বেইত ওমার শহরের মেয়র নাসরি সাবারনেহ বলেছেন– গত বুধবার এক ব্যক্তি তার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে গাড়ি চালাতে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন পথেই ইসরাইলি সেনা গুলি করে হত্যা করে ১২ বছরের মুহাম্মদকে। মেয়র যসাবারনেহ বলেন– তিনি ওই পরিবারকে চেনেন। তারা এই শহরেরই বাসিন্দা। মুহাম্মদ মারা গেলেও তার পিতা ও বোন অক্ষত রয়েছে। নিহত কিশোরের পিতা বলেন– ‘তারা আমার হৃদয়কে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।’ গত বুধবারের ওই ঘটনার পর ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিষয়টি তদন্তের ঘোষণা করে। তারা এক বিবৃতিতে জানায়– একটি চেকপয়েন্টে গাড়িটি না থামানো হলে এক সৈনিক গাড়িটির চাকায় গুলি করেছিল।