এম এ হাকিম, বনগাঁ : বাংলাদেশ থেকে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ এল রাজ্যে। আসন্ন উৎসবের মরসুমে ভোজন রসিক বাঙালিদের জন্য যা খুশির খবর। সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্তে আসে ৪ টন ইলিশ। পরবর্তীতে আরও সাড়ে ৪ টন ঢুকেছে। অর্থাৎ, এদিনই সাড়ে ৮ টন ইলিশ এল পশ্চিমবঙ্গে। আজ থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজারে মিলবে বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ।
এ বছর ২,৪৫০ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ইলিশ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে। জানা গেছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাছ আমদানির কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় ফিরোজ মণ্ডল নামে পেট্রাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, হাওড়া, পাতিপুকুর, শিয়ালদহ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, বীরভূমসহ বিভিন্ন বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ পাওয়া যাবে। এবার যে ইলিশ এসেছে তার ওজন ৮০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১ কেজি ৭০০ থেকে ১ কেজি ৮০০ গ্রামের।
২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই থেকে রাজ্যে পদ্মার ইলিশ আসা বন্ধই ছিল। কিন্তু গত তিন বছর ধরে দুর্গাপুজোর আগে ইলিশ রফতানিতে বিশেষ অনুমতি দিচ্ছে সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রক।
সোমবার সন্ধ্যায় ‘ফিস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক সৈয়েদ আনোয়ার মাকসূদ দৈনিক ‘পুবের কলম’ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘মোট ২৪৫০ টনের অনুমতি পাওয়া গেছে। আজ থেকে ইলিশ ঢুকতে আরম্ভ করেছে। আজকে সাড়ে ৮ টন ইলিশ এসেছে রাজ্যে। সকাল থেকেই হাওড়া বাজারে বিক্রি হবে। তারপর রাজ্যের অন্যত্র পাওয়া যাবে। আশা করা হচ্ছে কেজি প্রতি এক হাজার থেকে এক হাজার দুশো টাকা বিক্রি হবে। গোটা সেপ্টেম্বর মাস ধরে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানির কাজ চলবে।’
সৈয়েদ আনোয়ার মাকসূদ আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে এসেছেন, উনি যাতে ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন আমরা সেই আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের দাবি-বাংলাদেশ সরকার সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দিক। সেই মর্মে কলকাতাস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।