পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:উত্তর প্রদেশের নয়ডায় সুপারটেক টুইন টাওয়ার ধ্বংস করা হবে রবিবার। আপাতত তা নিয়ে সাজোসাজো রব। নয়ডার এই বিতর্কিত অট্টালিকা ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার পর যে ধুলোর ঝড় উঠবে তার জন্য কমবে দৃশ্যমানতা। সেই জন্য প্রায় কয়েকঘন্টা বন্ধ রাখা হবে বিমান চলাচল।
নয়ডায় সুপার টুইন টাওয়ার ধ্বংস স্তুপের চারপাশে এক নটিক্যাল মাইল আকাশসীমা ২৮ আগস্ট দু ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হবে। নয়ডা কর্তৃপক্ষ বলেছেন যে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক রবিবার ফ্লাইটের জন্য আকাশপথ বন্ধ রাখতে সম্মতি দিয়েছে। মাত্র ১৫ সেকেন্ডে ভেঙে গুঁড়িয়ে পড়বে এই টাওয়ার।
৪০-তলবিশিষ্ট দুটি টাওয়ার- অ্যাপেক্স এবং সিয়ান দুটি টাওয়ার ছিল। উত্তরপ্রদেশের নয়ডার সুপারটেকের এমারেল্ড প্রোজেক্টের অধীনে তৈরি এই ট্যুইন টাওয়ারে রয়েছে ৯০০টিরও বেশি ফ্ল্যাট। নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ বর্গফুট এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠে এই টাওয়ার।
বিস্ফোরক স্থাপন ও সংযোগ সংক্রান্ত প্রায় সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে।৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হবে কুতুবমিনারের থেকেও উঁচু এই যমজ টাওয়ার দুটি।রবিবার ২৮ অগস্ট এই যমজ অট্টালিকা উড়িয়ে দিয়ে যবনিকা টানা হবে সমস্ত বিতর্কে। এই টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ফলে উৎপন্ন হবে ৮০,০০০ টন ধ্বংসাবশেষ।
২৮ আগস্ট ওই অঞ্চলে কোনও মানুষ, প্রাণী বা যানবাহন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। এর আগে, নয়ডা পুলিশ সুপারটেকের বেআইনি ধ্বংসের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ২৬ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত শহরের আকাশে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে লম্বা এই ট্যুইন টাওয়ারটি ১০০ মিটারের বেশি লম্বা। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বিস্ফোরক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে এই যমজ টাওয়ার দুটি। ২০০ পোষ্য কে নিয়ে ৫০০০ হাজারের বেশি আবসিক ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছেন নিরাপদ স্থানে। সরানো হয়েছে ২হাজার ৭০০ গাড়ি। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স, সরকারির পাশাপাশি তিনটি বেসরকারি হাসপাতলকেও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। প্রচন্ড ধুলো এবং শব্দে যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তৎক্ষণাত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়।