ইনামুল হক, বসিরহাট: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী মঙ্গলবার সুন্দরবনে সন্দেশখালির টর্নেডো বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
গত ১৯ আগস্ট সন্দেশখালি-১ ব্লকের সরবাড়িয়া আগারহাটি পঞ্চায়েত এলাকায় ৩০ সেকেন্ডের বিধ্বংসী টর্নেডো ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পাঁচ শতাধিক বাড়ি। ঝড়ের তাণ্ডবে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ উপরে পড়েছিল। একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বেশ কয়েকটি গ্রাম বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্নও ছিল। তড়িঘড়ি সরবেড়িয়া আগারআটি পঞ্চায়েত প্রধান সেখ সাজাহান, জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতোরা তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করেছিলেন। ত্রিপলও দেওয়ার কাজ হয়েছিল।
এবার রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এদিন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাদের আর্থিক সাহায্য থেকে শুরু করে সব রকম সামাজিক দিক খতিয়ে দেখেন তাঁরা। প্রায় ২ হাজার মানুষকে ত্রিপল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্তদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে এদিন জানান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
বনমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কতগুলি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা নিয়ে আমরা একটি তালিকা তৈরি করেছি। পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে ৬০টি বাড়ি এবং আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৫০টি বাড়ি। এছাড়াও অনেকেই ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে আরও ত্রিপল দেওয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, ‘সমস্তটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী বার বার আমাদের ওই এলাকা পরিদর্শন করতে বলেছিলেন। যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে তারা বর্তমানে এলাকায় একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
একইসঙ্গে, তিনি বামফ্রন্টকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বাম অলে আমরা দেখেছি টর্নেডো হলে ওরা কোনও গুরুত্ব দিত না। ওরা বলতো এসব এলাকার লোক বুঝে নেবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।’