পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অ্যাম্বুল্যান্সে করেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হয় এইমসে। প্রথমে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা। পরে স্পেশাল কেবিন। কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, এবং রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ৪ জনের মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে। মেডিকেল টিম লিড করছেন চিকিৎসক পিয়ার মহাপাত্র, চিকিৎসক সোরেন ভুইয়াঁ, চিকিৎসক আশুতোষ বিশ্বাস।
এসএসকেএমের রিপোর্ট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তাঁরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনটের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশেই ভুবনেশ্বরের এইমসে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা করার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মোট ২৭ ঘন্টা জেরায় ক্লান্ত রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেটাই বার বার বুঝিয়ে দিত চেয়েছেন তিনি। ভুবনেশ্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বুকে বাঁ হাত দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি ভালো নেই। অ্যাম্বু্ল্যান্সে তোলার মুখে দূর থেকে তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, শরীরে কী ধরনের সমস্যা তাঁর যে হৃদযন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে এবং বুকে ব্যথা হচ্ছে, সম্ভবত সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী৷ সকালে সাড়ে দশটার কিছু আগে ভুবনেশ্বর এইমস-এ পৌঁছে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
শুক্রবার পার্থকে দুদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। সেই অনুযায়ী আজ তাকে কোর্টে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রী ভুবনেশ্বরেও হওয়ায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুনানি হবে ভার্চুয়ালি। তার আগে মন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষার সমস্ত রিপোর্ট ভার্চুয়ালি জানাবেন ভুবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসকরা।
শুক্রবার মধ্য রাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পরেই তার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। তার পরে ওই দিনই তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। রাজ্যের মন্ত্রীকে নিজে দের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার জন্য ১৪ দিনের হেফাজত চায় ইডি। তবে আদালত দুদিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ভুবনেশ্বরের এইমস-কে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে রাখা হয়েছে। মন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে উৎসুক মানুষ ভিড় জমান।