হাবিব তানভীর: গতবছর ২৭ জানুয়ারি ভুষকুল গ্রামের কছে ব্রাহ্মণী নদীর উপর একটি ফুটব্রিজের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস করেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান । ১৩৫ মিটার লম্বা ও আট ফুট চওড়া ফুটব্রিজের পরিকল্পনা করা হয়। ব্রিজের জন্য ৫২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয় । ঝিল্লি পঞ্চায়েত ও খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির ১৪ ও ১৫ নম্বর তহবিলের মাধ্যমে ব্রিজের অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এখন কাজ প্রায় শেষের দিকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা সূত্রে খবর, তাদের দীর্ঘদিনের দাবি এতদিনে পূরণ হতে চলেছে। এই কাজের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাক্তন প্রধান কামরুজ্জামান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
খড়গ্রাম ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, মাসখানেকের মধ্যেই ব্রিজের কাজ শেষ হবে। তারপরই উদ্বোধন করা হবে।
এই প্রসঙ্গে, যাদবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অয়ন মুখার্জি বলেন ,”খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লি পঞ্চায়েত এলাকার চারদিক দ্বারকা ও ব্রাহ্মণী নদী দিয়ে ঘেরা। এই ফুটব্রিজের ফলে এলাকার মানুষের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য অনেকটাই উন্নতি ঘটবে।
“স্থানীয় বাসিন্দা সিপন দেওয়ান বলেন, কাজ শেষ হলে ঝিল্লি পঞ্চায়েত এলাকার ১৭ টি গ্রামের বাসিন্দাদের শুধুমাত্র যোগাযোগ উন্নত হবে তা নয় বীরভূমের অন্য গ্রামগুলির যোগাযোগেও অনেক সুবিধা হবে।
খাসপুর গ্রামের রাফিজা বিবি বলেন, কবি নজরুল পদ সেতুর ফলে পাঁচগ্রাম ও বহরমপুর যাতায়াতেও অনেকটাই সুবিধা হবে ।
জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন , “বহুবছর ধরে ওই এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াতের সমস্যায় ভুগছেন । তাঁদের দাবি মাথায় রেখে এই ব্রিজে নির্মান। ব্রিজ উদ্বোধনের পর বাসিন্দাদের যাতায়াতের সমস্যা মিটবে “।
প্রাক্তন প্রধান কামরুজ্জামান সরকার বলেন,” ঝিল্লী অঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত এলাকায় এরকম একটা কাজ হবে সেটা আমাদের সবার কাছে ভাবার বাইরে ছিল। তবে আমি দায়িত্বে থাকাকালীন এই ব্রিজের উদ্বোধন হয়েছিল এবং সেটা যে সুন্দরভাবে শেষ হতে চলেছে,সত্যি এটা স্বরনীয় হয়ে থাকবে। যদিও এখন আমি প্রধানের দায়িত্বে নেই তবুও এই কাজে ভীষণ আপ্লুত”