আবদুল ওদুদঃ মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রতিটি জেলায় সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছেন। কোনও রোগী যাতে হাসপাতাল থেকে ফিরে না যায় তার জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও কোনও রোগী যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় তার জন্য জেলায় জোলায় গড়ে তুলেছেন এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল।
চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে গত কয়েক বছরে সাফল্যও মিলেছে অনেকটাই। একটা সময় ছিল যখন সামান্য কিছু হলেও স্থানীয় হাসপাতাল থেকে রোগীকে জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু মু্খ্যমন্ত্রী এই ব্যবস্থা অনেকটাই পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হয়েছেন। জেলা হাসপাতালগুলোকে অনেকটা সাজিয়ে তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে মফঃসল হাসপাতালগুলিতে এখন জটিল রোগে অপারেশন হচ্ছে। এক্ষেত্রে কলকাতার গার্ডেনরিচ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল (নাদিয়াল) চিকিৎসক দিবসের দিনে নজির গড়ল।
এই প্রথম ব্রেস্ট ক্যানসার অপারেশন করে সাফল্য দেখলো মেটিয়াবুরুজেরই ছেলে ডাক্তার নাজিমুল ইসলাম সর্দার। বছর ৪০-এর এক মহিলার বেস্ট ক্যানসাররের অপারেশন করে নজির গড়লেন তিনি। আর গার্ডেনরিচ স্টেট জেনারেল হাসপাতালও নিজের নামের সঙ্গে একটি সাফল্যও সংযুক্ত করলেন। এই প্রথম গার্ডেনরিচ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে কোনও রোগীর ক্যানসারের অপারেশন হল। অতীতে এতবড় অপারেশন হয়নি এই হাসপাতালে বলে নাজিমুল ইসলাম জানান। ডা. নাজিমুল এই সাফল্যে বেশ খুশি। গত এক বছর ধরে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ওই মহিলা। কলকাতার রবীন্দ্রনগর এলাকার ওই মহিলা। তাঁর কাছে চিকিৎসার জন্য আসেন।
কিন্তু ছোট হাসপাতালে কিভাবে এই অপারেশন হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। তিনি বলেন গার্ডেন রিচের মতো জায়গায় এই ধরনের অপারেশনের কথা ভাবা যায় না। কিন্তু হাসপাতাল সুপার ডা. কৌশিক রায় পরে উপযুক্ত পরিকাঠামো ও পরিষেবার ব্যবস্থা করেন।তিনি এবং তাঁর ইউনিটের অন্যান্য চিকিৎসকও নার্সরা সহযোগিতা না করলে এই সাফল্য আসত না। তাঁদের জন্যই আজ এই অপারেশন সাফল্যের মুখে দেখছে।
আগামী দিনেও যাতে মানুষ এই ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা পায় তার জন্য কাজ করবেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকের কাজ হচ্ছে সফল অপারেশন করে রোগীকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। সেই জায়গায় গার্ডেনরিচ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল-এর সুপার সহ চিকিৎসকরা সেই কাজটা করতে পেরেছে। আর আমিও সেই টিমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্বিত। আগামি দিনে আগত রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ায় প্রধানলক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানাবো।
তিনি স্বাস্থ্য পরিষেববা উন্নয়নে পরিকাঠামো বাড়ানোর লক্ষে কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, এই হাসপাতালকে আরও উন্নত থেকে উন্নতর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য সহকর্মী এবং পরিষেবা বাড়ানোর প্রয়োজন। আশা করব স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিছিয়ে পড়া এলাকায় তৈরি হওয়া এই সরকারি হাসপাতালটিকে আরও সাজিয়ে তুলবেন।